কোভিড-১৯-এর পরের চ্যালেঞ্জ এবং পশ্চিমের রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলা করে নিজেদের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিমসটেক নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ মার্চ পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর পরের চ্যালেঞ্জ এবং পশ্চিমের রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলা করে সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক লাভের জন্য বিমসটেক ফোরাম (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেকটোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন) একটি উপযুক্ত হাতিয়ার।
সম্মিলিত প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সাধারণ সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে বিমসটেক সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। বিমসটেক ফোরামের ২৫তম বার্ষিকীতে এ অঞ্চলের পূর্ণ সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক বঙ্গোপসাগর অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য একটি অভিন্ন কৌশল খোঁজার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংস্থাকে দ্রুত এগিয়ে নিতে চলমান আইনি উপকরণ ও নীতি সংক্রান্ত নথিগুলোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তৃতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা উদীয়মান হুমকিগুলো মোকাবিলায় এবং নতুন সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করে সংস্থাকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
জ্বালানি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন এবং টিকে থাকার জন্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভাবন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য আমাদের নতুন এবং সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বিকাশমান ৫টি অর্থনীতির মধ্যে একটি। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর আমরা ৬ দশমিক ৩ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। গত সপ্তাহে আমরা শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পঞ্চম বিমসটেক সম্মেলনের চেয়ারম্যান ও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে।