পাট চাষ ও এর আঁশ উন্নয়নে প্রযুক্তিগত পদ্ধতি নির্ণয়ে জনতা জুট মিলের সহযোগিতায় বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ শুরু করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের উপস্থিতিতে সম্প্রতি উপাচার্য ভবনে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ইয়ারুল কবীর এবং আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
জনতা জুট মিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “পাটের আবাদ এবং ফলন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের মতামত হবে পাটকে বছরে এক ফসলি কৃষিপণ্য থেকে দুফসলি কৃষিপণ্যে রূপান্তর করা। বর্তমানে পাট একফসলি হওয়ার প্রধানতম কারণ হলো পানির প্রাপ্যতার ওপর নিভর্রতা। পাট কাটার পর পাটের জাগ সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে পানির প্রাপ্যতা, পানির পরিমাণ এবং পানির গুণগত মানের ওপর। দীর্ঘদিন ধরে পানি প্রাপ্যতার সমস্যার কারণে পাটের আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে এবং একইসাথে এই সমস্যা পাটের ফলন এবং আঁশের গুণগত মানকেও নিম্নমুখী করছে।”
পাটকে দুফসলি করার উপায় খোঁজার আহ্বান জানিয়ে জনতা জুট মিলছে বলছে, একটা প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি, যাতে বছরের যে কোনো সময় পাট কেটে জাগ দেওয়া সম্ভব হয়। পাট জাগের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের প্রযুক্তিগত পদ্ধতি নির্ণয় নিয়ে জনতা জুট মিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগেকে সাথে নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ শুরু করেছে।
পাটের আঁশের ইউনিফর্ম কন্ডিশনিং করার চেষ্টায় আরও একটি গবেষণা হচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাট জাগের প্রযুক্তিনির্ভর নতুন উপায় বের করার পাশাপাশি পাটের সুতা তৈরির ক্ষেত্রেও পাটের আঁশের কন্ডিশনিং-এ নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন নিয়ে কাজ হচ্ছে, যা পাটের সুতার উৎপাদন ও সুতার গুণগত মানে আমুল পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং জাতি উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।