ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা (ফরিদপুর) এক্সপ্রেসওয়েতে (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক) অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হারে টোল নির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
২৬ জুন মন্ত্রণালয়ের টোল ও এক্সেল শাখার উপ-সচিব ফাহমিদা হক খান সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে এ টোল হার কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এই এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা প্রান্ত (ধোলাইপাড়) থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়ার দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার, আর সেখান থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ২০ কিলোমিটার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, টোল নীতিমালা ২০১৪ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে টোল নির্ধারণের পূর্বপর্যন্ত অন্তর্র্বর্তীকালীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল হার (মিডিয়াম ট্রাক) সমন্বিতভাবে ১০ টাকা প্রতি কিলোমিটার হিসেবে নির্ধারণ করা হলো।
এতে অর্থ বিভাগের সম্মতি রয়েছে। পরে টোল নীতিমালা ২০১৪ অনুযায়ী যথাসময়ে টোল হার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।
উপ-সচিব ফাহমিদা হক জানান, ধোলাইপাড় থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ছয়টি টোল বুথ থাকবে। মাওয়া প্রান্তে আবদুল্লাহপুর, ধলেশ্বরী, শ্রীনগর পর্যন্ত তিনটি এবং পদ্মা সেতু পার হয়ে কুলিয়াবাজার, মালিগ্রাম ও ভাঙ্গা পর্যন্ত আরও তিনটি টোল বুথ থাকবে। একটি বুথ দিয়ে ঢুকলে সেই গাড়িকে কমপক্ষে পরবর্তী টোল বুথ পর্যন্ত টাকা দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টোল আদায় করবে কোরিয়ান কোম্পানি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়েজ করপোরেশন (কেইসি)। গত ২২ জুন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুুর রহমান চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টোল আদায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) ও এক্সপ্রেসওয়ে পরিচালনার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেইসিকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য কোম্পানিটিকে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকা দিতে হবে। অতিরিক্ত সচিব বলেন, সভায় অর্থনৈতিক কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি ও সরকারি ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সবক’টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চারটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের চারটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তিনটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল। মো. জিল্লুর রহমান আরও জানান, ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩০৬ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০৯ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৭ টাকা। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক