গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মাদকদ্রব্যসহ নুসরাত শাহরিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নুসরাত শাহরিনকে আজ বুধবার ঢাকার আদালতে হাজির করে সাত দিন করে ১৪ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু।
আদালতে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আসামি নুসরাত শাহরিন সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যা, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছিলেন। তার ভাই কনক সরওয়ার বিদেশে অবস্থান করে সরকারবিরোধী নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অবশ্য আসামিপক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, নুসরাত শাহরিনের নামে ভুয়া আইডি খোলা হয়েছে। এ নিয়ে তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নুসরাত শাহরিনকে তিন দিন এবং মাদক মামলায় দু’দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।