— শহীদুল ইসলাম বাচ্চু, নিউইয়র্ক “কিছু কিছু কথা আছে বলা যায় না কিছু কিছু কান আছে মলা যায় না কিছু কিছু কথা আছে বলে দিতে হয় কিছু কিছু কান আছে মলে দিতে হয়” “বশীকরণ তাবিজ/কথা” নামক বইয়ে তিনি কথাগুলো বলেন। এটি ২০১৮ সালের কথা। তবে আমি প্রথম দেখি ফেসবুকে সেই বছরের সম্ভবত মধ্যভাগ অথবা শেষদিকে। তখনও পরিচয় হয়নি। কিন্তু ‘অজ্ঞাত’ খালেদ সরফুদ্দীন এর পরপরই ‘অজ্ঞাত’ পাঠক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম’কে (উর্ফ শহীদুল ইসলাম বাচ্চু) ‘বশ’ করে ফেলেন। অর্থবহ ও গভীর চিন্তার হুল ফোঁটানো“কিছু কথা” আর মুগ্ধতার তাবিজ দিয়েও যে বশীকরণ করা যায় কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বশীভূত হতে হয় — তা টের পেয়েছিলাম।এরপর পরিচয় হয়েছে, ঘনিষ্ঠতা হয়েছে তাঁর সঁঙ্গে, তাঁর নিরবচ্ছিন্ন লেখালেখির সঙ্গে এবং এসব কিছুর উর্ধ্বে একজন ‘মানুষ’ খালেদ সরফুদ্দীনের সঙ্গে। সেইসঙ্গে বেড়েছে হৃদ্যতা, যা আমার আমেরিকা জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি। গৌরচন্দ্রিকা দীর্ঘ হচ্ছে। কবি, ছড়াকার, লেখক সরফুদ্দীনের কর্মকান্ডের অর্থাৎ তাঁর লেখালেখির সৌন্দর্য হ্রস্ব মাপে তো বয়ান করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন তিনি লিখেন। মূলত: ছড়াই লিখেন। মজার মজার ছড়া। হাস্যরসের উপাদানে ভরপুর। আবার ছড়ার ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে দেন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্যাটায়ার, সেগুলো অনেক সময় হয় ছুঁড়ির তীক্ষ্ন ফলার মত; সরাসরি জায়গামত বিদ্ধ হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম সরফুদ্দীনের একটি বই নিয়ে রিভিউ লিখার অপচেষ্টা নিব। এবারের নিউইয়র্ক মুক্তধারা বইমেলায় (২০২১) ভাবনাটা গোপন রেখে তাঁকে বললাম, “আপনার ভালোলাগা বইগুলোর মধ্য থেকে একটি বাছাই করুন তো!” মনে হয় কবি সমস্যায় পড়লেন, একজন লেখকের কাছে তাঁর সকল সৃষ্টিই তো সন্তান সমতুল্য, আদরণীয়। “খাসকথা”র দৃষ্টিকাড়া প্রচ্ছদে কী মনে করে আমি হাত রাখলাম। তিনি তাৎক্ষণিক বইটি তুলে নিয়ে হাঁফ ছেড়ে যেন বাঁচলেন,
বিস্তারিত