নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কালবৈশাখী ঝড়ে ছিঁড়ে যাওয়া তারের সংস্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ছিঁড়ে যাওয়া তারটি পল্লী বিদ্যুতের লোকজন দেখে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর এ কারণেই মা-ছেলের প্রাণ গেল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পূর্ব চরবাটার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- পূর্ব চরবাটার ইউনিয়নে ৩৫ বছর বয়সী কোহিনুর আক্তার ও তার তিন বছরের ছেলে মো. ইয়াছিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, বুধবার কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ির পাশের বাগানে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গিয়ে সেটি দেখে জানান- মেরামতের জন্য সরঞ্জাম লাগবে; সেগুলো নিয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু তবে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেননি।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ওই বাগানে খেলতে যায় ইয়াছিন। এ সময় ছেঁড়া তারটি ধরেই চিৎকার দেয় শিশুটি। পরে ছেলেকে বাঁচাতে জড়িয়ে ধরেন কোহিনুর। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলে দুজনই মারা যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করে সুবর্ণচর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ফসিউল হক জাহাঙ্গীর বলেন, বুধবার ঝড়ে গাছ পড়ে অনেক স্থানে বিদ্যুতের লাইনের তার ছিঁড়ে যায়। আমাদের কর্মীরা এসব লাইনের তার মেরামতে কাজ করছেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কেউ আমাদের কোনো খবর দেয়নি। খবর পেলে অবশ্যই আমাদের কর্মীরা কাজ করতো। তাহলে এমন দুঃখজনক ঘটনা হয়তো ঘটতো না।