ফরিদপুরে স্কুলছাত্র খুনের রহস্যভেদ করতে গিয়ে আরেক কিশোর অটোচালক হত্যাকাণ্ডের সূত্র পেয়েছে পুলিশ। জোড়া খুনের ঘটনায় দুই ভাইসহ গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফরিদপুর এপ্রিল সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের লোকমান খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে আছমত শেখ, তার ভাই আশিক শেখ ও একই গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা।
গত ১ এপ্রিল সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আলমগীর বিশ্বাসের ছেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির বিশ্বাসকে খুন করে তার অটোরিকশ ছিনতাই করা হয়। ঐ ঘটনার নিহতের বাবার দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একই দলের হাতে নাঈম শেখ নামে এক কিশোর অটোচালক হত্যার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত তিনজন একইদিন আরেক অটোচালক নাঈম শেখকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাই করেছে। তারা দুটো খুনের দায় স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার সকালে মাটির নিচ থেকে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি নাঈমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, সাব্বির হত্যা মামলা তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে- আসামিরা একটি অটোরিকশা বিক্রির উদ্দেশ্যে গজারিয়া বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। সেখান থেকেই অটোরিকশাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিরা সাব্বির হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার অটোরিকশাটি গোয়ালচামট এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে ১৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছে বলে জানায়।
পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিন আসামি একইদিন নাঈম শেখ হত্যা ও তার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে- আছমতের বাড়ির পেছনে মাটির নিচ থেকে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি নাঈম শেখের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
দুটি হত্যাকাণ্ডেই নিহত ও আসামিরা কিশোর। এ কারণে পুলিশকে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। আসামিদের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নেয়া হবে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান।