ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সীমাতিরিক্ত ঋণ দিচ্ছে। আবার আইন লঙ্ঘন করে ওই ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণ অবলোপন করছে। এতে করে ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন থেকে এমন পরিস্থিতিতে সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া, সুদ মওকুফ এবং ঋণ অবলোপন করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সাবসিডিয়ারি ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ করছে। এছাড়া, ওই প্রতিষ্ঠানে দেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ কিংবা ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধি-বিধান লঙ্ঘন করছে। এর ফলে আর্থিক খাতের ঋণ শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ ও বিনিয়োগ ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের স্বার্থে এবং এ খাতে ঋণ শৃঙ্খলা আনতে এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সাবসিডিয়ারি ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদান, সুদ বা মুনাফা মওকুফ ও বিতরণ করা ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩-এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।