মশিউর আনন্দ, ঢাকা
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে চারদিন মেয়াদে দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শুরু হচ্ছে। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে দুপুরে রাজধানীর শাহবাগস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এসব তথ্য জানান।
প্রধান অতিথি বলেন, ঢাকা জেলায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর চত্বরে এবং দেশব্যাপী বিভাগীয়/জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার চত্বর অথবা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা জেলায় প্রায় ৭০টি, বিভাগীয় পর্যায়ে প্রায় ৫০টি এবং জেলা পর্যায়ে প্রায় ৩০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বইমেলায় অংশগ্রহণ করবে। তিনি দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ সুন্দর ও সফলভাবে বাস্তবায়নে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জাতির সঠিক ইতিহাস জানান দেয়া সহ আলোকিত, জ্ঞাননির্ভর, সংস্কৃতিমনস্ক মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সৃজনশীলতার একটি বড় উৎস বঙ্গবন্ধু, তাঁর জীবনকর্ম ও ত্যাগের মহিমা। যে কারণে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে হাজার হাজার বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সৃজনশীলতাকে জাতির মাঝে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের নিকট ছড়িয়ে দিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রি. তারিখ থেকে শুরু হয়ে ০২ জানুয়ারি, ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত চলবে এবং এ উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতি জেলায় ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।