হাসপাতালের দরজার সামনে মূর্তিটা ঘোড়ার মত,
না ঘোড়াটা মূর্তির, বুঝে উঠতে পারি না।
সব কিছু ধোঁয়াশে।
আইসিউর ওয়েটিং রুমে বসে আছি।
সময় কদর্য কাছিম, দীর্ঘ গলায় উঁকিঝুঁকি মারে,
সরে না, নড়ে না, গড়িয়েও যায় না।
অপারেশন থিয়েটারে অন্ধকার,
যে সেখানে অচেতন শুয়ে আছে সে জানেই না
সে আমার কতখানি নিয়ে গেছে!
অপেক্ষা করে আছি,
কখন ওই না-জীবিত, না-মৃত শরীরে বোধের উন্মেষ হবে
এবং কেউ একজন হাট করে দরজা খুলে বাইরে এসে হেসে বলবে,
“উঠুন, ভেতরে আসুন, উনি আপনাকে দেখার জন্য আকুলি বিকুলি করছেন!”
কষ্টের পরমাণু দিয়ে গড়া ভালোবাসার শরীর
অথচ না-কষ্ট, না-ভালোবাসা, কিছুই স্পর্শ করা যায় না,
সময় থম করে দাঁড়িয়ে থাকে।
জানুয়ারী ৩, ২০২২
আমার প্রিয় বন্ধু ও সহৃদদের জন্যঃ
শ্বেতা গত এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিল, ডিস্ক হার্নিয়েশনের কারণে স্পাইনাল কর্ডের ওপরে বেশ চাপ পড়েছে। নববর্ষের ছুটির কারণে চিকিতসায় কিছুটা দেরি হয়েছে। অবশেষে গতরাতে তার সফল অপারেশন হয়েছে। সবার শুভকামনায় সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে।
অপারেশনের দীর্ঘসময় উদ্বিগ্ন অপেক্ষার বহিঃপ্রকাশ এই লেখাটি।