কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, এয়ারপোর্ট কিংবা পদ্মা সেতুসহ বড় প্রকল্পগুলো পর্যটনকে প্রমোট (উন্নয়নে সহায়ক) করবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্প্রতি পর্যটন মাস্টার প্ল্যান বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই যে মাস্টার প্ল্যান আমরা করতে যাচ্ছি, সুপরিকল্পিতভাবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে এটা করতে হবে। আমাদের মাস্টার প্ল্যানের মূল বিষয় হবে যে জায়গার সঙ্গে যে পরিবেশের সঙ্গে যেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন বরিশালে রিভারাইন ট্যুরিজম, পাহাড়ের সঙ্গে যেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেখানকার ইকো সিস্টেম মেইনটেইন করে ট্যুরিজমের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। যে বড় প্রকল্পগুলো হয়েছে দেশে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন অথবা এয়ারপোর্টগুলো বলেন বা এই যে পদ্মা ব্রিজ এগুলো সবই পর্যটনকে প্রমোট করবে।
পর্যটন প্রসারে প্রচারণার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে দেশের ইতিবাচক ইমেজ বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে বলেও জানান মাহবুব আলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আমার ক্ষুদ্র সময়ে যতটুকু দেখেছি, আমাদের দেশ অনেক সুন্দর, অনেক নান্দনিক। এই বিষয়গুলো মানুষকে জানান দিতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
মাহবুব আলী বলেন, সবকিছুতেই আমরা যখন মিন করি যে আমাদের করতে হবে তাতে কিন্তু সফল হই। এটা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়। বস্তুতপক্ষে পর্যটনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের যে সংস্কৃতি সেটা পর্যটনবান্ধব। তবে আমাদের আরও উদার হতে হবে। আমাদের দেশে পর্যটকদের ধারণ করতে যে সব উপাদান দরকার তার সব আছে। আমি বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের যে মূল্যবোধসমূহ এগুলো যদি আমরা ধারণ করি সেখানেই পর্যটনকে প্রমোট করার সবকিছু আছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পর্যটনের একটি বড় ধরনের উপকরণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব বেড়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই পর্যটন মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যটনে যে অবস্থায় রয়েছে এটিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের যে ১১০০টি পর্যটন স্পট রয়েছে এগুলোতে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা বিদ্যমান। পর্যটন মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে সমন্বিতভাবে পর্যটন উন্নয়ন হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন অংশীজন কর্মশালায় অংশ নেন। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক