• রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
Headline
তানিয়া আফরিন পেলেন আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ ‘সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও নারী-শিশু নির্যাতন বিরোধী আলোচনা সভা অদম্য নারী পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এম মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন। BAMGLADESHI AMERICAN COMMUNITY CHANGEMAKERS দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করতে একমত ড. ইউনূস ও শাহবাজ শরিফ ইউনূস-বাইডেন বৈঠক নিয়ে যা বলেছে হোয়াইট হাউস ‘রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দেব’ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা জরুরি : ড. যশোদা জীবন দেবনাথ মাহবুব সিরাজ তুহিন সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালি ছাত্র ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের অভিভাবক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য সুশাসন, শিক্ষার প্রসার ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে : প্রীতি চক্রবর্তী

জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর ভূমিকা ‘দুঃখজনক’ : প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ১৮০ Time View
Update : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর অর্থবহ পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যর্থতাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলো জোরালো বক্তব্য রাখলেও পরিস্থিতির গুরুত্বের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তারা শুধু কথা বলে; কিন্তু কাজ করে না। অথচ তারাই এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এটি ধনী ও উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব। তাদেরই এ ইস্যুতে এগিয়ে আসা উচিত। কিন্তু আমরা তাদের দিক থেকে সেই ধরনের কোনো সাড়া পাচ্ছি না। এটি দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমি জানি, ধনী দেশগুলো আরও ধনী হতে চায়। তারা অন্যদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়।
তাঁর এ বক্তব্যের সঙ্গে সংযোজন করে এএফপি মন্তব্য করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ঘন জনবসতিপূর্ণ ডেলটা ও নিম্নাঞ্চলীয় বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র।
এএফপি আরও বলেছে, বাংলাদেশ পৃথিবীকে উষ্ণায়নের জন্য দায়ী খুবই সামান্য পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে।
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, জলবায়ুু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করে টিকে থাকার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করতে ২০২০ সাল নাগাদ বছরে একশ বিলিয়ন ইউএস ডলার চাওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার মতে, ওই বছর বেসরকারি মাধ্যমসহ ৮৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে, নভেম্বরে মিসরে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনটি সবচেয়ে বড় যে সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে, তা হলো- ধনী দেশগুলোকে অভিযোজন ও প্রশমন ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির জন্যও অর্থ দিতে হবে কিনা।
এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই যে, তহবিলটির আরও বৃদ্ধি হোক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা উন্নত দেশগুলার কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি না।
এএফপি জানিয়েছে, ধনী দেশগুলো ২০২৪ সাল পর্যন্ত শুধু ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মত হয়েছে।
এ বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ জলবায়ু সুবিচারের জন্য বারংবার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া ছোট দেশ ভানুয়াতুর নেতা জীবাশ্ম জ্বালানির বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যে ধরনের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ প্লাবিত হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও একই ধরনের ভয়াবহ বন্যা হতে পারে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন।
রোহিঙ্গা প্রশ্নে এএফপি মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশ পশ্চিমের যে নিষ্ক্রিয়তা দেখছে, তাতে জলবায়ুই একমাত্র ইস্যু নয়, রোহিঙ্গা সংকট আরেকটি বড় সমস্যা। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে ধনী দেশগুলোর মনোযোগ সরে গেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেশী মিয়ানমারে ২০১৭ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্মম অভিযানের কারণে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, এ অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছিল।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাটি আরও বলেছে, সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসা এর আগের এক লাখসহ এ শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বিশ্ব বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি ও বর্তমানে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিষয়টি থেকে মনোযোগ সরে গেছে।
যতক্ষণ তারা আমাদের দেশে আছে, আমরা মনে করি, এটি আমাদের দায়িত্ব- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে বলেন, কিন্তু বাংলাদেশি আশ্রয়দাতাদের ধৈর্য ক্ষীণ হয়ে আসছে।
এএফপিও স্মরণ করেছে, জাতিসংঘের তৎকালীন মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট এ বছরের আগস্টে এক সফরে মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাবিরোধী মনোভাব বাড়ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনগণকে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আমি বলব না যে তারা ক্ষুব্ধ, তবে তারা অস্বস্তি বোধ করছে। সব বোঝাই আমাদের ওপর এসে পড়ছে। এটিই সমস্যা।
রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের বেশির ভাগই মুসলিম, বাস করছে ত্রিপল, টিন ও বাঁশের তৈরি ছাউনি ঘরে। ব্যাচেলেট তার সফরকালে বলেছিলেন, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেনাশাসিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কোনো সম্ভাবনা নেই, যেখানে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।
কিন্তু সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আভাস দেন, ক্যাম্পে বসবাসের বাইরে রোহিঙ্গাদের অল্পকিছু বিকল্প আছে।
তিনি বলেন, তাদের খোলা জায়গা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ তা তাদের নিজের দেশেই রয়েছে। তারা সেখানে ফিরে যেতে চায়। আর এটাই সবার মূল অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, কেউ যদি তাদের নিতে চায়, তারা নিতে পারে। বাসস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category