মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চুয়াডাংগা থেকে
চুয়াডাংগার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বান্ধবীর সঙ্গে সেলফি তোলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে খাদিজা খাতুন (১৩) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরেক কিশোরী হালিমা খাতুন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরই দুই বান্ধবীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেওয়া হয়। খাদিজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত খাদিজা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার আজির উদ্দিনের মেয়ে ও হাটবোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আহত হালিমা খাতুন একই এলাকার আফাজ উদ্দিনের মেয়ে এবং একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে মংগলবার বিকেলে দুই বান্ধবী একটি ইটভাটার মাটির স্তূপের উপর উঠে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছিল। এসময় অসাবধানতায় ১১ হাজার কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের তারে হাত লাগলে দুই বান্ধবী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদীতে নেওয়া হয়। আহত হালিমা খাতুন শঙ্কামুক্ত হলেও খাদিজা খাতুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা খাতুনের মৃত্যু হয়। আহত হালিমা খাতুনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দুই ভাই বোনের মধ্যে খাদিজা খাতুন ছিল ছোট। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা পাগল প্রায়। খাদিজা খাতুনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জানিয়েছেন, ইটভাটার মাটির স্তূপের উপরে উঠে দুই বান্ধবী সেলফি তুলছিল। এসময় ১১ হাজার কেভি বৈদ্যুতিক সন্চালন লাইনের তারে অসাবধানতাবশতঃ হাত লেগে দুজনই আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে খাদিজা খাতুনের মৃত্যু হয়। আহত হালিমা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার দাফন সম্পন্ন হয়।