এম.আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া থেকে
বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত ওই বাচ্চা লোক দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার নিউটাউন এলাকার আবদুল লতিফের ছেলে নুরুল ইসলাম(৫০)। শনিবার ভোররাতে উপজেলা শাহ বন্দেগি ইউনিয়নের মেরুয়া বটতলা বাজার নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেইসঙ্গে মহাসড়কে মধ্য আড়াআড়িভাবে উল্টে পড়ে থাকা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার
এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা নাদির হোসেন জানান, দুর্ঘটনা আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গুরুত্ব আহত ২০ জনকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চালক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরমধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। দুর্ঘটনা আহতরা হলেন, শ্রী প্রদীপ কুমার সাহা(৫০) মোসাম্মৎ রাজিয়া(২৫) সুমা আক্তার (৮) দেলোয়ার হোসেন (২৯) রাশেদা বেগম (২৫) রুবি (৮) শারমিন(৩০) সাঈদী (৪৭) তালহা হোসেন(১৯) সালমা(১৮) মেহেদী (৩০) এনামুল হক (৩৫) নুরি বেগম (৪০) আলমগীর হোসেন(৩৬) হোসেন আলী (৩৭) করিম (৩৪) মমিনুল ইসলাম(২২), এদের মধ্যে সবার বাড়ি রংপুর,গাইবান্ধা,গাজীপুর জামালপুর জেলায়। আর দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাণিউল আলম জানান,দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।