মশিউর আনন্দ, ঢাকা
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন সকাল ১১:০০ টায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পরিদর্শন করেছেন। এ সময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(গ্রেড-১) মো: আজহারুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন শেষে অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে তিনি এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন। সভায় সকল জেলার উপ-পরিচালকগণ জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দসহ আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শুরু করেন।
যুব ও ক্রী
ড়া সচিব বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অধিদপ্তর। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কিভাবে এদেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করা যায় সে বিষয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত রুপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে যুব সমাজকে উন্নয়নের মূলস্রোত ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে, সে লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশী গুরুদায়িত্ব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত। অনেক কাজের সীমাবদ্ধতা সত্বেও তারা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। আপনাদের এ উদ্যোগকে আরো বেগবান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সর্বাত্বক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ এদেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। জনগণের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের সরকারি কর্মচারীদের বেতন হয়। কাজেই মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের সাথে মিশে গিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে হবে। যুবসমাজকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বাত্বক সহায়তা করতে হবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে শিক্ষিত ও বেকার যুব সম্প্রদায়কে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ও মিশন কে বাস্তবায়িত করতে হলে যুব সমাজকে কাজে লাগাতে হবে এবং এ দায়িত্ব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকেই নিতে হবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত সমৃ্দ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণ করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো একটি মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক ভাবে দায়িত্বপালনের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সচিব আরো বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনার দায়িত্ব ও কাজের ক্ষেত্র অপরিসীম। স্বর্নিভর উদ্যোক্তা তৈরীতে আপনাদেরকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। বেকার যুবদের প্রশিক্ষণসহ ব্যাংক ঋণের জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত সকল কর্মসূচী সফলভাবে বাস্তবায়নের গুরুদায়িত্ব আপনাদের উপর ন্যাস্ত। বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন। যুব সমাজের উন্নয়নে আপনারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন। জাতির পিতার পবিত্র রক্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ধমনীতে প্রবাহিত। তিনি দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা সকলে যদি তাকে অনুসরন করে সম্মিলিতভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাই তবে রুপকল্প ২০৪১ যথাসময়ে বাস্তবায়িত হবে এবং আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছে যাব।