শ্যাম সিংহ রায়’ সিনেমার পোস্টারে যিশু সেনগুপ্তকে দেখেই আসলে দেখা। যিশুর সুন্দর মুখ দেখার জন্য এখন আর কেউ ওর সিনেমা দেখেন না মনে হয়। দেখেন ওর নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে কতটা এগোলেন তার খতিয়ানে চোখ রাখতে। যেমনটা প্রসেনজিতের ক্ষেত্রেও ঘটে– অন্তত আমার তাই মনে হয়। ঋতুপর্ণ ঘোষ নামের এক পরশ পাথরের ছোঁযা যিশুকে অমূল বদলে দিয়েছে। যাকউগা, এই সিনেমায় যিশুর উপস্হিতি ৩০ মিনিটও নয়। পুরোটা জুড়ে আছেন শ্যাম সিংহ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করা দক্ষিণী নায়ক((Nani)। যার অভিনয় এই প্রথম দেখলাম। যিশু শ্যামের বড় ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। শ্যাম সিংহ রায়ের(Nani) ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ- পছন্দ হুয়া। সিনেমাটা দেখে বেশ একটু হিহিহি করে হেসে নেওয়ার সুযোগ আছে। কেন দেখলে বোঝা যাবে। অন্যের সাহিত্য প্রতিভা বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি গপাং করার কাজে নিযুক্তরা ‘পুণর্জন্ম থিওরি’ কাজে লাগিয়ে কোমর বেঁধে নামবেন কিনা ভাবতে পারেন। এর পরিচালক Rahul Sankrityan..
মিউনিখ দ্য এজ্ অফ দ্য ওয়ার (munich the edge of war): কেম্ব্রিজ পড়ুয়া তিনসহপাঠীকে দিয়ে সিনেমা শুরু। উচ্ছল
প্রাণবন্ত তিন তরুণ প্রাণ। পাঠজীবন শেষে জটিল কর্মজীবনে তারা দুজন নিযুক্ত হয়, তাদের জীবন থেকে সব উচ্ছ্বাসের ভাসন ঘটে। হবে নাই বা কেন- একজন বৃটিশ তদান্তীন প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেনের একান্ত সচিব তো অন্যজন হাড়ে জল্লাদ অ্যাডলফ হিটলারের। বাকি এক সহপাঠী, যার সাথে মিউনিখবাসী ছেলেটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তার পরিণতি কী হয়েছিল? জানতে হলে দেখতে হবে। মিউনিখ চুক্তিতে হিটলার যে ধড়িবাজি করেন সেটা তার একান্ত সচিব পাকেচক্রে জেনে যায়– বন্ধুত্বের খাতিরে নয়– নিজের ব্যক্তিগত আদর্শ আর অবস্হান থেকে সে চেষ্টা করে বন্ধুকে দিয়ে চেম্বারলেনকে বাধা দিতে তিনি যেন চুক্তিতে সই না করেন। বহুদিনের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার গুমর নিয়ে চেম্বারলেন দুই বন্ধুর মতামত তোয়াক্কা করেননি। ‘তুমি আমারত্থে বেশি বুঝোনি মিয়া’র খেসারত যথাসময় দিতে হয় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। আর হিটলার তার আসল চেহারা পৃথিবীকে কীভাবে দেখিয়েছিলেন একথা সবার জানা। অনবদ্য অভিনয়, অনবদ্য পরিচালনা। পরিবেশের ঘনত্ব বুঝে সঙ্গীতায়োজন। রবার্ট হ্যারিসের উপন্যাস ‘মিউনিখ’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন Christian Schwochow.