মশিউর আনন্দ:
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, যুগের ও সময়ের প্রয়োজনে বাংলা নববর্ষের নগরায়ণ ঘটেছে। আগে নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা গ্রামে-গঞ্জে সীমাবদ্ধ ছিল যেটার বিস্তৃতি এখন শহর, নগর, বন্দরে ছড়িয়ে পড়েছে। স্পষ্ট করে বললে, শহরেই এখন বাংলা নববর্ষ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপিত হয়। একইভাবে গ্রামীণ পিঠা উৎসবও স্থানান্তরিত হয়ে শহুরে উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে, শুধু যেন আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত না হয় এ বাংলা নববর্ষ উৎসব- সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আনুষ্ঠানিকতার সাথে নববর্ষের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ ও লালন করা জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত ‘বাংলা নববর্ষের নগরায়ণ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এটি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। এ অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছে প্রতিটি বাঙালির কাছে শেকড়ের মিলনমেলায়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নববর্ষ বাঙালি জাতিকে একত্রিত করে জাতীয়তাবোধে। জীর্ণ-পুরনোকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করে বাঙালি জাতি।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।