• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
Headline
তানিয়া আফরিন পেলেন আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ ‘সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও নারী-শিশু নির্যাতন বিরোধী আলোচনা সভা অদম্য নারী পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এম মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন। BAMGLADESHI AMERICAN COMMUNITY CHANGEMAKERS দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করতে একমত ড. ইউনূস ও শাহবাজ শরিফ ইউনূস-বাইডেন বৈঠক নিয়ে যা বলেছে হোয়াইট হাউস ‘রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দেব’ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা জরুরি : ড. যশোদা জীবন দেবনাথ মাহবুব সিরাজ তুহিন সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালি ছাত্র ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের অভিভাবক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য সুশাসন, শিক্ষার প্রসার ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে : প্রীতি চক্রবর্তী

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের মধ্যস্ততায় ভাঙ্গা সংসার লাগলো জোড়া

Reporter Name / ১৩২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ চুয়াডাঙ্গা থেকে

কথায় বলে ভাঙ্গা কাঁচ আর ভাঙ্গা মন কখনও জোড়া লাগে না। কিন্তু সেই অসাধ্যকে সাধন করে চলেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো.জাহিদুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে অসংখ্য ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগিয়ে তাক সৃষ্টি করেছেন তিনি।পুলিশ সুপারের মধ্যস্ততায় অনেক নির্যাতিত,নিপীড়িত ও অসহায় মেয়েরা ফিরে পেয়েছে তাদের সুখের সংসার। সন্তানেরা ফিরে পেয়েছে তাদের স্থায়ী ঠিকানা।  বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের মো. আসলাম হোসেনের কন্যা রজনী খাতুনের ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের মাস্টার পাড়ার মো.আসলাম হোসেনের মেয়ে রাজনী খাতুনের এর সাথে ৫ বছর পূর্বে একই জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী গ্রামের মো. মুনতাজ আলীর ছেলে মো.রফিকুল ইসলাম (২৪) এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ফুটফুটে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর হতে যৌতুকের দাবিতে রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী রজনী খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে রফিকুল রজনী খাতুনকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। রজনী খাতুন যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রফিকুল তাকে তালাক দেয়। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রফিকুল ও রজনী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিছুদিন না যেতেই রফিকুল তার স্ত্রীকে পুনরায় শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। রজনী খাতুন বিভিন্ন জায়গায় তার সমস্যার সমাধান চেয়ে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান না পেয়ে। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য তার মা মোছা. ময়না খাতুনকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসেন। পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম উক্ত বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী কে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয় পক্ষকে আজ বুধবার(৬ অক্টোবর) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার মো.জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মো. রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী মোছা. রজনী খাতুনের সাথে পুনরায় সংসার করতে  সম্মত হয়। অবশেষে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে রজনী খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের এমন মানবিক কাজর জন্য তিনি ইতিমধ্যেই জেলাবাসির কাছে মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category