• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
Headline
টেকসই উন্নয়ন অর্জনে শিক্ষা খাতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ, গবেষণা ও নীতি প্রণয়ন জরুরি -অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন ডা. সিনথিয়া আলম ত্বকচর্চার নতুন দিগন্তের পথপ্রদর্শক কানাডায় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য নীতিগত সহায়তা ও সরকারি সহযোগিতা নিশ্চিত করছি -আরিফুর রহমান, P.Eng. ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনের প্রচারে নিউইয়র্ক সফরে হোস্ট কমিটি শুরু হলো ঢাকা ক্লাব প্রেসিডেন্ট কাপ স্নুকার টুর্নামেন্ট-২০২৫ তানিয়া আফরিন পেলেন আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ ‘সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও নারী-শিশু নির্যাতন বিরোধী আলোচনা সভা অদম্য নারী পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এম মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন। BAMGLADESHI AMERICAN COMMUNITY CHANGEMAKERS দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করতে একমত ড. ইউনূস ও শাহবাজ শরিফ

প্রাচীন মানব সমাজের জ্ঞানের সৃষ্টি ও স্থায়িত্ব

Reporter Name / ৯৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১

মেহেদী চৌধুরী

আজ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন মানব সম্পর্কে গবেষণার জন্য মোটামুটি বিশ্ববিখ্যাত একজন অধ্যাপকের সঙ্গে আদিম সমাজ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলাপের সুযোগ হয়েছে। আলাপটা লিখে রাখছি ও ভাবছি অন্যদের সাথে শেয়ার করলেও ভালো হবে। যারা আগ্রহী, নিচে আপনাদের ভাবনা জানাবেন।

আমার প্রশ্নের মূল বিষয় ছিলো প্রাচীন মানব সমাজের জ্ঞানের সৃষ্টি ও স্থায়িত্ব। একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীতে নতুন কিছু সৃষ্টি হলেও তার স্থায়িত্ব বেশিদিন না থাকতেও পারে। তিনি জানালেন যে নতুন জ্ঞান নিশ্চয়ই বারবার সৃষ্টি হয়েছে ও এর মধ্যে কোন কোন গোষ্ঠীরটা স্থায়ী হতে পেরেছে। এরকম একটা মত আমি পূর্বের একটা লেখাতে অনুমান করেছিলাম। কিন্তু তিনি আরো যোগ করলেন, যে নতুন জ্ঞান যখন কালচারের অংশ হয়েছে তখনই হয়তো স্থায়ী হতে পেরেছে। যেমন একটি গোষ্ঠীতে যখন ৮০ জন লোক থাকে তখন তার অস্তিত্ব হয়তো স্থায়ী নাও হতে পারে। কিন্তু যখন যেই জ্ঞান ৮০ জনের ৮০টা গোষ্ঠীর কালচারের অংশ হয় তখন তা টিকে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তাহলে প্রশ্ন আসে যে কোন প্রেক্ষিতে প্রাচীন মানব গোষ্ঠীগুলো নিজেদেরকে কোন মূল কালচারের অংশ মনে করতে পেরেছিলো। এ নিয়ে বেশী আলাপ হয়নি কিন্তু এর সাথে প্রয়োজনের সম্পর্কে আছে এরকম কিছু অনুমান করা হয়েছে। সেই কালচার হয়তো প্রয়োজন মেটাতে পারে এমন কালেক্টিভের ভূমিকা পালন করতে পেরেছিলো – যা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে নানারকম সার্ভিস/সেবা প্রদান করতে পেরেছিলো। যে রকমটা আধুনিক সমাজেও দেখা যায়।

এই প্রশ্নে মানব বিবর্তন নিয়ে কিছু আলাপ হয়। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা কোন অতি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী সম্প্রসারিত হয়ে কি মানবগোষ্ঠীগুলোর সূচনা হয়েছিলো? খুব ক্ষুদ্র গোষ্ঠী থেকে না হয়ে নানা ভাবে বিবর্তিত হয়ে মানব গোষ্ঠীগুলোর সূচনা বলেই তিনি মত দিচ্ছেন। তবে বিষয়টা আরেকটু খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই আমি মনে করছি।

জ্ঞানের স্থায়িত্বের সঙ্গে মানব গোষ্ঠীগুলোর অস্তিত্ব ও স্থিতিশীলতার কিছু সম্পর্কও আছে। এ নিয়েও তার গবেষণার সূত্রে কিছু আলাপ হয়েছিলো।
আলাপের আরেকটা বিষয় ছিলো প্রাচীন মানবের পরস্পরের সাথে ট্রেড বা বাণিজ্য সম্পর্কে। এ বিষয়টাকে ট্রেড না বলে বিনিময় বলাই ভালো বলে তিনি মত দিয়েছেন। কিন্তু এরকম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নানা সময়ে ও স্থানে নানা ভাবে পাওয়া গেছে। তাই যাকে বলা যায় সাধারণীকরণ, তা করা একটু সমস্যার।

সময়ের ব্যবহার ও তার সাথে সুখ-সমৃদ্ধির সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া আলাপ হয়েছে, প্রাচীন মানব সমাজের সঙ্গে বর্তমান মানব সমাজের তুলনা ও সাম্প্রতিক অর্থনীতির কিছু বিষয় নিয়ে।

ছবিঃ শভে (Chauvet) গুহাচিত্রে মানুষের হাতের ছাপ ( আনুমানিক ৩৫০০০ বছর পুরানো), ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category