দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ঢাকায় কিরগিজস্তানের দূতাবাস স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গত ২৩ মার্চ ডিসিসিআইতে ভারতে নিযুক্ত কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রদূত এসিয়েন ইসায়েভের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরমান হক।
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেশ সম্ভাবনাময় হলেও, এখনো তা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ২৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার। কিরগিজস্তান বাংলাদেশ থেকে প্রধানত ওষুধ আমদানি করে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ কিরগিজস্তান থেকে তুলা আমদানি করে।
বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, প্লাস্টিক এবং ইলেকট্রক্সিপণ্য আমদানির আহ্বান জানান ডিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার প্রস্তাব করেন তিনি।
এছাড়া দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকায় কিরগিজস্তানের দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। যার মাধমে দুদেশের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণে যোগাযোগ বাড়বে এবং বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে।
এসময় কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রদূত এসিয়েন ইয়েসেভ তার দেশ এবং বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সামনের দিনগুলোতে আরও সম্প্রসারণের আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, কিরগিজস্তান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রায় ৬ হাজার পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা তার দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে এ সুযোগ নিতে পারে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ থেকে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে কিরগিজস্তান শিল্পখাতের ব্যবহার উপযোগী ভালো মানের তুলা উৎপাদন করে আসছে, বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তারা কিরগিজস্তান থেকে আরও বেশি পরিমাণে তুলা আমদানি করতে পারেন।
এ সময় ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং দূতাবাসের কনস্যুলার এজরিম জাকাইভেকভ উপস্থিত ছিলেন।