বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা পাঁচ বছর পর মৃত্যু সাংবাদিক শফিউলের আলমের লাশ উত্তোলন করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার হাতে ডিসেম্বের ১১ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা। এর আগে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ অভিযোগে ছোট ভাই আমি শফিউল ইসলাম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৯ সেপ্টেম্বর থানায় রেকর্ড করতে হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপুম দাস এর উপস্থিতি লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ মামলার আসামি হলেন উপজেলার বর্ষণ গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনিসুল(৫৫), আব্দুল মজিদের ছেলে মানিক উদ্দিন (২৭) ইসমাইল হোসেনের ছেলে খোকন হোসেন(৪৫) কলো দীঘি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মাইদুল ইসলাম(৪৫)। এই হত্যা মামলায় তদন্ত করেছেন এসআই শাহ সুলতান। সাংবাদিক বিপুলের ছোটভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিরা তার ভাইকে হত্যা করে পরে হত্যার ঘটনাটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায়। এসআই শাহ সুলতান জানান, মামলাটি রীতি অনুসারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গমতে, মৃত্যু সংবাদিক শফিউল আলম বিপুল নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক এবং দৈনিক সকালের আনন্দ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।