আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ঘুরে এলাম
কামাল চৌধুরী
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ঘুরে এলাম । ঢাকায় ফিরলাম আজ। ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি, চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। মূল থিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।এ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে ৪৬০০ বর্গফুট আয়তনের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনা সংস্থা মিলে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্টল সংখ্যা ৪৪টি । জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির একটি স্টলও আছে : এখানে কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বই ও সংকলনগুলি প্রদর্শন করা হচ্ছে।। মেলার তিনটি সুদৃশ্য তোরণ সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও তাঁর লেখা তিনটি বই দিয়ে।
৩ ও ৪ মার্চ ছিল বাংলাদেশ দিবস। কয়েকটি সেমিনার, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব মিলে দুই দিন মেলার মূল মঞ্চ ছিল জমজমাট। বাংলাদেশ থেকে অনেকে গেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সেলিনা হোসেন,নজরুল ইসলাম খান, আরমা দত্ত, মুহম্মদ নূরুল হুদা, তারিক সুজাত,সুভাষ সিংহ রায়, উপ- রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান, মিনার মনসুর , ফরিদ আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম, মাহরুখ মহিউদ্দিনসহ অনেক লেখক প্রকাশক, শিল্পী অংশ নিয়েছেন। বিমানের টিকিট না পেয়ে অনেকে যথাসময়ে যেতে পারেন নি।
“রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং তাঁর তিনটি গ্রন্থ” বিষয়ক আলেচনা অনুষ্ঠিত হয় ৩ তারিখ বিকেল ৫ টায়।আমি মূল বক্তা ছিলাম। বিভিন্ন দিনের আলোচনায় পশ্চিম বঙ্গের অধ্যাপক পবিত্র সরকার , অধ্যাপক চিন্ময় গুহ, ইমানুল হক , সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, পাবিলশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়সহ বিভিন্ন জন আলোচনায় অংশ নেন।
প্রিয় কবি শঙ্খ ঘোষের নামে লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের সামনে মঞ্চ হয়েছে। কলকাতার বিশিষ্ট কবি লেখকদের উপস্থিততে আমার সৌভাগ্য হয়েছে ২ তারিখ সন্ধ্যায় এ মঞ্চ উদ্বোধন করার।
এবার দে’জ থেকে আমার শ্রেষ্ঠ কবিতা বেরিয়েছে। দে’জ থেকে কবি শামীম রেজারও শ্রেষ্ঠ কবিতা বেরিয়েছে। বাংলাদেশের আরো কয়েকজন কবির বই বেরুবে সেখান থেকে। Bee Books থেকে আমার “টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে” গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ From Tungipara: Poems on Bangabandhu Sheikh Mujib কয়েকদিনের মধ্যে বেরুবে।
তবে ব্যস্ততার জন্য মেলার সব অংশে যেতে পারিনি । ১৩ একর জুড়ে মেলা। কিছু বই কিনেছি , কিছু বই উপহার পেয়েছি। সব মিলিয়ে স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা।