• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
Headline
তানিয়া আফরিন পেলেন আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ ‘সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও নারী-শিশু নির্যাতন বিরোধী আলোচনা সভা অদম্য নারী পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এম মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন। BAMGLADESHI AMERICAN COMMUNITY CHANGEMAKERS দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করতে একমত ড. ইউনূস ও শাহবাজ শরিফ ইউনূস-বাইডেন বৈঠক নিয়ে যা বলেছে হোয়াইট হাউস ‘রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দেব’ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা জরুরি : ড. যশোদা জীবন দেবনাথ মাহবুব সিরাজ তুহিন সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালি ছাত্র ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের অভিভাবক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য সুশাসন, শিক্ষার প্রসার ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে : প্রীতি চক্রবর্তী

আমি আর সুকুমার! লুৎফর রহমান রিটন

Reporter Name / ৯৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১

 

 

সুকুমার রায়
লুৎফর রহমান রিটন

আমার জন্মের চার দশক আগে মৃত্যুবরণ করা ‘আমার ছড়াগুরু’ সুকুমার রায় নিকটতম প্রতিবেশী ছিলেন আমার। আমার সুকুমার সান্নিধ্যের স্মৃতিগুলো নিয়ে, তাঁর লেখা বইগুলো নিয়ে, রচিত এই ছড়াটাই গুরুর জন্মদিনে আমার নৈবেদ্য। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র এবং সত্যজিৎ রায়ের বাবা সুকুমার রায়ের জন্মদিন আজ ৩০ অক্টোবর।

ছড়াটা লিখেছিলাম ২০১২ সালের এই দিনে। ছড়ার সঙ্গে ইলাস্ট্রেশন করেছে প্রীতিভাজন শিল্পী সুজন চৌধুরী।
[ সুত্র/লিলিপুটের ছোটভাই, প্রকাশক চন্দ্রাবতী একাডেমি, প্রকাশকাল বইমেলা ২০১৩]

আমি আর সুকুমার
লুৎফর রহমান রিটন

যে পেয়েছে শৈশবে সুকুমার রায়কে
তার মজা আজীবন, তাকে আর পায় কে!
লাল মলাটের বই মাঝে অই ম্যাঁও-টা
বেড়ালটা কতো প্রিয়! আমি তার ন্যাওটা!

শৈশবে কৈশোরে ফ্যান্টাসী বেশুমার
শৈশব রাঙালেন জাদুকর সুকুমার।
পায়ে পায়ে ছায়া হয়ে পিছু নেয় ফূর্তি
গড়েছেন অপরূপ অদ্ভুত মূর্তি!
ঘাটে ঘাটে ঘটে কতো কাণ্ড ও কীর্তি
সুকুমার ছাড়া কেউ শৈশবে ফিরতি?

আমাদের ছেলেবেলা সুকুমার সঙ্গী
কতো তাঁর অবয়ব কতো তাঁর ভঙ্গি!
‘রামগরুড়ের ছানা’ ‘হেশোরাম হুঁশিয়ার’
একসাথে বেড়ে উঠি আমি আর সুকুমার।

‘কাঠবুড়ো’, ‘হুঁকোমুখো’, ‘কানে খাটো বংশী’
একেকটা ভয়াবহ! কী যে বিধ্বংসী!
কাকে ছেড়ে কাকে ধরি বলবো কি বাপু রে
বলে ‘ভয় পেও না’ গো ‘বাবুরাম সাপুড়ে’।
‘কুমড়োপটাশ’ আর ‘কিম্ভুত’, ‘খিচুড়ি’
নেই রে তুলনা তাঁর নেই কোনো কিছুরই।
‘আবোল তাবোল’ শুনে ‘ঝালাপালা’ কানটা?
শুনে নিতে পারো তবে ‘হিংসুটি’ গানটা।
‘দাশুর খ্যাপামি’ দেখে মনে লাগে খটকা?
‘খাই খাই’? ‘কিছু চাই’? ফোটে ‘চীনেপটকা’!
‘শব্দ কল্প দ্রুম’-এ কুপোকাৎ ছাত্র
‘ছায়াবাজি’ ‘গোঁফচুরি’ আর ‘সৎপাত্র’
‘পাগলা দাশু’কে চেনো? ‘কাতুকুতু বুড়ো’কে?
মাঞ্জা কে শিখিয়েছে ‘ব্যোমকেশ’ খুড়োকে!
সুকুমার নাচালেন ছন্দের বাহারে
আহারে ‘দ্রিঘাংচু’! ‘ট্যাঁশগরু’ আহারে…
‘হ য ব র ল’কে দেখে হেসে ওঠে সজারু
সুকুমার আছে তাই দুনিয়াটা মজারু।

সুকুমার আছে তাই আমিও যে আছি রে
আমি আর সুকুমার থাকি কাছাকাছি রে!
সুকুমার সবখানে গোঁফে আর দাঁড়িতে
বুড়ো হয়ে গেছি তবু পারি নাই ছাড়িতে!
জীবনটা কেটে যায় হাসি-গানে-রঙ্গে
ভাগ্যিস সুকুমার ছিলে তুমি সঙ্গে!

মুছে দিয়ে জীবনের গ্লানি আর হাহাকার
একসাথে বেঁচে থাকি আমি আর সুকুমার।

(রচনাকাল/ অটোয়া, ৩০ অক্টোবর ২০১২)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category