• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
Headline
তানিয়া আফরিন পেলেন আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ ‘সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও নারী-শিশু নির্যাতন বিরোধী আলোচনা সভা অদম্য নারী পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এম মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন। BAMGLADESHI AMERICAN COMMUNITY CHANGEMAKERS দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করতে একমত ড. ইউনূস ও শাহবাজ শরিফ ইউনূস-বাইডেন বৈঠক নিয়ে যা বলেছে হোয়াইট হাউস ‘রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দেব’ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা জরুরি : ড. যশোদা জীবন দেবনাথ মাহবুব সিরাজ তুহিন সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালি ছাত্র ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের অভিভাবক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য সুশাসন, শিক্ষার প্রসার ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে : প্রীতি চক্রবর্তী

রমেশ মিশ্র সম্পর্কে অজানা তথ্য ও শিল্পীর জাতপাত

Reporter Name / ১০৩ Time View
Update : রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১

 

নিউইয়র্ক ডটকম  বিশেষ রচনা 

সারেঙ্গীবাদক রমেশ মিশ্রের জন্ম ২ অক্টোবর, ১৯৪৮ সালে, ভারতের বারাণসীতে। ১৩ মার্চ, ২০১৭-তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের বাঙালিদের আড্ডাখানা জ্যাকসন হাইটস্-এর সেভেন্টি থার্ড স্ট্রিটের একটি আ্যাপার্টমেন্ট-এ বাস করতেন। এক সময় কলকাতা থাকতেন এবং তিনি ভালো বাংলা বলতেন। পণ্ডিত রবি শংকর-এর শিষ্য এবং রবিশংকর, নামকরা আমেরিকান ব্যান্ড অ্যারোস্মিথসহ অনেক খ্যাতিমান শিল্পীদের সাথে এবং অসংখ্য উচ্চ প্রশংসিত কনসার্টে ও চলচ্চিত্রের আবহসঙ্গীতে সঙ্গত করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, মার্জিত ও রুচিশীল মানুষ ছিলেন। কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি, একবার ভার্জিনিয়াতে আমাদের চ্যারিটি সংগঠন ‘দি অপটিমিস্টস্’-এর এক ছোট অনুষ্ঠানে তিনি সারেঙ্গী বাজাতে আমাদের সাথে গিয়েছিলেন।
রমেশ মিশ্র সম্পর্কে না জানা তথ্যটি হলো- একাত্তর সালে বাংলাদেশে যখন হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনি নরহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছিল, তখন পণ্ডিত রবিশংকরের আহ্বানে আয়োজিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশে তিনিও সারেঙ্গী বাজিয়েছিলেন। এজন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এখানে যে ভিডিওটির সংযোগ দিয়েছি, তাতে তবলা বাজিয়েয়েছে একজন অসাধারণ তবলাবাদক ওস্তাদ তরি খান। পাঞ্জাব ঘরানার শিল্পী তরি খান-এর জন্ম পাকিস্তানে, থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে।
এসব নামীদামী শিল্পীদের কথা ভাবতে গিয়ে দেখলাম, শিল্পের প্রতি গভীর অনুরাগ, শিল্পের প্রচার-প্রসার, এবং শিল্পের সমঝদারিত্বের কারণে শিল্পীরা বাউল হয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে চলে যান। শিল্পীদের দেশ-খেশ থাকে না। তারা সৃষ্টির নেশায় একাকার হয়ে হারিয়ে যান অনাদি জগতে। তাইতো শিল্পীর কোনো জাতপাত থাকেনা।
অবশ্য শিল্পের অনুরাগীদেরও জাতাপাত থাকতে নেই, নাহলে আমি একজন বাঙ্গালি হয়ে কীভাবে একাত্তরের ঘাতক খানসেনাদের সহোদর তরি খান-এর এই তবলাবাদন মুগ্ধ ও অকুণ্ঠচিত্তে উপভোগ করতে পারতাম?
শুধু শিল্প নয়, উচ্চমার্গের যে কোনো সৃষ্টিই মানুষে মানুষে মিলে একাকার হয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে। এই সৃষ্টিগুলোর অন্যতম হলো শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান-দর্শন। এসব সৃষ্টিই একদিন এই জাতপাতকে নর্দমায় নিক্ষেপ করে বিশ্বমানবতাকে একীভূত করবে বলে আমার বিশ্বাস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category