আগামী ২৫ জুন গৌরবের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। খুলনা প্রেসক্লাবে সম্প্রতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব শেখ মোহাম্মাদ আলী। তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে ২৫ জুন।
কাক্সিক্ষত পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের আঞ্চলিক বৈষম্য কমবে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি হবে। মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর ব্যবহারের গুরুত্ব বেড়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। ২৫ জুন এই দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে আগামী ২২ জুন বুধবার সকাল ১০টায় একটি আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়নে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। পদ্মা নদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালে ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন।
সেই কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু ২৫ জুন উদ্বোধনের প্রাক্কালে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি তথা বৃহত্তর খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের পক্ষ থেকে আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, অধ্যক্ষ মো. জাফর ইমাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টুু, আবু হাসান, এস এম জাহিদ হোসেন, দেশ সংযোগের সম্পাদক মাহবুবুল আলম সোহাগ, উন্নয়ন কমিটির শাহীন জামাল পন, শেখ মোশাররফ হোসেন, মিনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক মো. আবুল বাশার, মিজানুর রহমান বাবু, মামুনুরা জাকির খুকুমনি, মো. মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান জিয়া, মীর বরকত আলী, মাস্টার মনিরুল ইসলাম, রকিব উদ্দিন ফারাজী, মো. খলিলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম বাবু, প্রমিতি দফাদার প্রমুখ। খুলনা প্রতিনিধি