মিনহাজ আহমেদ
দুর্গাপুজার শেষদিন। নিউ ইয়র্কে উডসাইডে যেখানে থাকি, সেখানে ও আশেপাশে অনেকগুলো মণ্ডপে পুজা জমজমাট। জ্যাকসন হাইটস্ গিয়ে তার ঢেউ লেগেছে! দেখেটেখে ঘরে ফিরে দেখি, ফেসবুকে আমার বড় আপা লিখেছেন, “আমি লজ্জিত ও মর্মাহত।” প্রবাসী ভাই হিসেবে পরিবারের প্রবীণতম শিক্ষাবিদ বোনটির এহেন স্ট্যাটাস দেখে আমি ঘাবড়ে গেলাম। সাথে সাথে ফোন করে যা জানলাম, তাতে ঘাবড়ানোর মাত্রাটা বেড়ে গেলো।
আসলে ধর্ম নিয়ে কি দেশের মানুষেরা দিন দিন অমানুষে পরিণত হচ্ছে? যদি তা না হতো, তাহলে আমার এই বোনটির মতো ধর্মপ্রাণ মানুষটিকে প্রকাশ্যে এই কথা বলতে হতো না। আমি জানি, বাংলাদেশ একটি মানবিক দেশ। এ দেশের অধিকাংশ নাগরিক গরিব হতে পারে, কিন্তু তারা মানুষ। শুধু কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী, এবং নীতি ও আদর্শভ্রষ্ট রাজনীতিবিদ দেশকে দিন দিন অন্ধকারের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
আমি জানি, আমাদের এ ধরনের প্রতিক্রিয়া পড়ে অনেকে বলবেন, ভারতে যে মুসলমানদের উপর অত্যাচার-নিপীড়ন চলছে, সে ব্যাপারে কথা বলি না কেনো! প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন, আমরা শুধুই হিন্দুদের সমর্থক, এবং মুসলিম নির্যাতন সমর্থক। তারা ভারতে মুসলমান নির্যাতনের কথা বলে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনকে জায়েজেরও চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশের এসব ধর্মব্যবসায়ী এবং নীতি ও আদর্শভ্রষ্ট রাজনীতিবিদরা পশুর চেয়েও অধম। এদের মাথায় মগজ নেই, আছে মানববিষ্টার মতো দুষ্টগন্ধযুক্ত পদার্থ।
এমতাবস্থায় আমি প্রস্তাব করছি:
টিনের স্থলে এসব ধর্মব্যবসায়ী এবং নীতি ও আদর্শভ্রষ্ট রাজনীতিবিদদের হাত-পা বেঁধে মুখ হা করে বসিয়ে রাখা হোক।
বিষয়টি খোলাসা করে বলি।
স্যানিটারি টয়লেট আসার আগে দেশে টয়লেটগুলোর নিচে টিন থাকতো। প্রতিদিন ভোরে মিউনিসিপ্যালিটির গাড়িতে করে ধাঙররা এসব টিন থেকে মানববিষ্টা সংগ্রহ করে লোকালয়ের বাইরে নিক্ষেপ করতো। প্রস্তাব অনুযায়ী যতদিন না ধর্মব্যবসায়ী এবং নীতি ও আদর্শভ্রষ্ট রাজনীতিবিদরা না শুধরাবে, ততদিনের জন্য পুরনো যুগের টয়লেট পূনঃপ্রবর্তন করে এসব ধর্মব্যবসায়ী এবং নীতি ও আদর্শভ্রষ্ট রাজনীতিবিদদের হাত-পা বেঁধে টিনের জায়গায় মুখ হা করে বসিয়ে রাখা হোক।
## ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা