২৫শে ডিসেম্বর শনিবার বাংলাদেশের পাসপোর্ট কন্যা বিশ্বজয়ী কাজী আসমা আজমেরী জন্মদিন ছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভক্ত ও বন্ধু-বান্ধবদের শুভেচ্ছায় ভরা ছিল তার সোশ্যাল মিডিয়া। শুধুমাত্র এই পাসপোর্ট কন্যা বিশ্ব ভ্রমণ করেন নাই, ভ্রমণের পাশাপাশি মানবতার অবদান রয়েছে তার। বিশ্বভ্রমণকারি এই তরুণীর হৃদয় মহাবিশ্বের মত উদার। তাই তার জন্মদিনে আনন্দ ভাগ করে নিতে চান এতিম ও অসহায় দুঃস্থ বাচ্চাদের সাথে। যাদের জন্মদিনের কোন উৎসব হয় না কিংবা নেই কোন ঠিকানা সেইসব বাচ্চাদের সাথেই তিনি সময় কাটান তার জন্ম দিনের বেশি টার সময়।
ভারতের কলকাতা শহরে এক্সপাক অর্গানাইজেশন এর সহযোগিতায় উদযাপন করা হয় জন্মদিন যা দুঃস্থ ও অবহেলিত শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশের 11 টি জেলায় পথশিশু ও দুঃস্থ বাচ্চাদের সাথে তার জন্মদিনের আনন্দ শেয়ার করা হয়।খুলনার রায়পাড়ায় তার লাইব্রেরীতে লাইব্রেরী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ড্রিম লাইট এর আয়োজনে
বাংলাদেশী পাসপোর্টে ১১৬টি দেশ ভ্রমণকারী খুলনার ভ্রমণ কন্যা এর শুভাকাঙ্ক্ষী কাজী আসমা আজমীরির জন্মদিন পালিত হয় ।
তার জন্মদিন উপলক্ষে খুলনায় তার বাড়িতে ১১৬ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ ও তার Fun way learn লাইব্রেরীতে শিশুদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। বাংলাদেশ নড়াইল জেলায় মিকাইল হোসেনের তত্ত্বাবধানে প্রায় 50 টি দুঃস্থ বাচ্চাদের সাথে কেক কাটা হয়। গোপালগঞ্জ শহরে ওখানে ভলেন্টিয়ার সুমাইয়া ইসলামের তত্ববধানে প্রায় চল্লিশটি বাচ্চা নিয়ে তাদের ভেতর পথশিশু ও এলাকার বাচ্চা নিয়ে কেক কেটে উদযাপন করেন। বরগুনা থেকে ভলেন্টিয়ার মারুফা বরগুনার ছোট ছোট কোমলমতি বাচ্চাদের নিয়ে প্রায় 35 জন বাচ্চাকে নিয়ে কেক কাটেন। চট্টগ্রামে শুভ এর তত্ত্বাবধানে স্টেশনের অবহেলিত বাচ্চাদের নিয়ে কেক কাটেন। বরিশালে নয়ন শেখের তত্ত্বাবধানে ত্রিশ অধিক পথশিশুদের নিয়ে কেক কাটেন। কুস্টিয়ার হরিনারায়ণ পুরের গরিব ও অসহায় ত্রিশ অধিক বাচ্চাদের নিয়ে কেক কাটেন। যশোরে অনিকা মুন্সি বিশ অধিক ছিন্ন মুল অধিক বেদে বাচ্চাদের নিয়ে কেক কাটেন। এবং রিমন হাসান হ্রদয় ময়মনসিংহ জেলার তত্ত্বাবধানে বেদে পরিবারের বাচ্চাদের সাথে কেক কাটেন।
এই জন্মদিনে ভিন্ন ভিন্ন জেলা থেকে যুক্ত ছিন্নমুল বাচ্চাদের মুখে হাসি ফুটানোই তার সদিচ্ছা। যেটা বাস্তবায়নে সকলে সহযোগিতা করছে এই শুভজন্মদিনের উপহার সরুপ।
ঘুরে ঘুরে পৃথিবী দেখতে মন চায় সকলের কিন্তু সকলের ভাগ্যে তা হয় না। তবে সব কিছুই সম্ভব যদি দৃঢ় মনোবল থাকে আর এই দৃঢ় মনোবল ও মনোভাব নিয়েই পুরো পৃথিবী দেখতে ২০০৯ সালে ঘুরতে বের হয়েছিলেন খুলনার গর্বিত কন্যা কাজী আসমা আজমেরী।
বাংলাদেশের ৫০ তম বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশী পাসপোর্ট ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণের তালিকায় ১১৬ তম দেশ হিসেবে লেবাননে গেছেন তিনি।তিনি লেবাননে ভ্রমণে থাকায় তিনি সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারেননি তবে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমাকে ভালোবেসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা ভক্ত, অনুসারীরা আমার জন্মদিন পালন করছে এতে আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।