আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া থেকে
পর্যটকে মুখে নওগাঁর সোমপুর বিহার প্রাকৃতিক এসেছে মধুর বসন্ত। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভালোবাসা দিবস। ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস গিরি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সোমপুর বিহার। স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি সোমপুর বিহারে বিদেশি পর্যটকরা আসা-যাওয়া ছিল তবে পর্যটক দের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও করোনার সংক্রমণ রোধে কাজ করেছেন টুরিস্ট পুলিশ। দীর্ঘসময় মানুষের কোলাহল আর দূষণ না থাকায় প্রকৃতি তার উপরে মহিমায় ঢেলে সাজিয়েছে সোমপুর বিহার
এলাকা। আর এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চীন থেকে পর্যটক উপভোগ করতে এসেছেন তিনজন। ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর মধ্যেই বিহারটি অন্যতম। এর আদি নামসোমপুর বিহার। এটি নওগাঁ বদলগাছী থানা পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস শেষ হয়ে গেলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকদের আসা অব্যাহত রয়েছে। সোমপুর বিহার এলাকা
ঘুরে দেখা গেছে গত কয়েকদিন যেমন আনাগোনা না থাকলেও গত রবিবার ১৩ ই ফেব্রুয়ারি থেকে বিহার এলাকায় ভিড় বাড়ে পর্যটকদের। সিরাজগঞ্জ থেকে আগত রাশেদা খান বলেন, এবার নতুন জায়গা দেখতে এসেছি এত সুন্দর তা ভাবতে পারিনি শুধু বাবা-মায়ের কাছে থেকে পাহাড়পুরে কথা শুনেছি দেখার ভাগ্য এবার হয়েছে ভালোবাসা দিবসে তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে এসেছি। অপর এক পর্যটক আনিকা আক্তার বলেন, ঐতিহাসিক পাহাড়পুর দেখে মুগ্ধ। এত অপূর্ব দৃশ্য নওগাঁয় আছে তারা দেখতে কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই তারা সবাইকে পাহাড়পুর দেখার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এর কাস্টোডিয়ান, মোঃ ফজলুল করিম বলেন, এবার বৌদ্ধ বিহারে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সরকার রাজস্ব সেই সঙ্গে ব্যাপক নিরাপত্তা বেরিয়েছি টুরিস্ট পুলিশ। তিনি আরো বলেন, সংস্কারে পর বৌদ্ধ বিহারে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪ ই ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি টানা এক সপ্তাহ পর্যন্ত এরকম পর্যটকের সমাগম ঘটবে ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা।