‘নয়ন সম্মুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই’
রিপোর্টারের নাম :
/ ৫৪
ভিউ
আপডেট সময়:
বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২
শেয়ার
মিথুন আহমেদ
আমার বাবা খুবই সাধারণ এবং সরল প্রকৃতির একজন মানুষ ছিলেন। একজন নিরহংকারী সম্পূর্ণ সাদাসিধে নির্লোভ পরদুঃখে কাতর একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আমাদের শ্রেষ্ঠ বাবা। ছাত্রাবস্থায় তিনি বামপন্থি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে ছিলেন যুক্ত । তিনি আমাদের অনেক অনেক বই কিনে দিতেন। তাঁর কাছ থেকেই কিছুটা হলেও পাঠাভাস্যাসের রুচি অনুশীলন করতে হয়তো পেরেছি। রাত জেগে ভূগোল আর ইতিহাসের বই পড়তেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ছিলো তাঁর অন্যতম প্রিয় বিষয়। এই তো সাত মাস আগেও সারাদিন গীতবিতান আর সঞ্চয়িতা নিয়ে পড়তে বসে যেতেন। মা’র গরম করা খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে মা’র কাছে রাগ শুনতে হতো। দুপুরে আমার কাজের সময়টায় মা’র সাথে অভিমান করে খেতেন না। বলতেন মিথুন আসুক ওকে নালিশ করবো তারপর খাবো… ।
মা আমাকে কাজের মাঝে ফোন করে জানতেন। আমি কাজ শেষ করা মাত্রই অন্য কোথাও না গিয়ে সরাসরি বাসায় ফিরে আসতাম। বাসায় ফিরে আব্বা… আব্বা… বলে ডাক দিলেই চটজলদি সাড়া দিয়েন, আমার জন্যই তিনি কান খাড়া করে অপেক্ষা করছিলেন। আব্বা খাবে না? –বলতেই চট করে বলতেন হ্যা খাবো। জিজ্ঞাস করতাম আম্মার সাথে কী হয়েছে? তখন আর কোনোই অভিযোগ থাকতো না আম্মার প্রতি, হেসে উত্তর দিতো– ‘না তো কিছুই হয়নি’। আব্বা সারাক্ষণ চ্যানেল আই এই একটি চ্যানেলই দেখতেন। সাগর ভাই, সাঈখ ভাই, মামুন ভাই, আবেদ খান তাঁরা ছিলেন আব্বার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সখ্য। আম্মা অনেক বলেও এই চ্যানেল পাল্টাতে পাড়তেন না আব্বাকে দিয়ে। আম্মা বিরক্তি প্রকাশ করতেন। তাঁদের দু’জনের রাগ-অভিমান কথার খুনসুটি এই সামান্যটুকু নিয়েই নিত্যদিনের।
অনেক রাতের দিকে আমি আর আব্বা আমরা প্রায়ই আইস্ক্রিম খেতাম। সেটা যত রাতই হোক আব্বা ঘুম থেকে উঠে চেয়ারে বসে যেতেন। আব্বার প্রিয় ছিলো চকবার আইস্ক্রিম। আব্বা খেতে খুবই ভালোবাসতেন। আম, বাদাম, কোকাকোলা, ফান্টা, মেঙ্গো জুস ছিলো আব্বার প্রিয়। আব্বা আমাদের খাওয়া দাওয়া বেড়াতে নিয়ে যাওয়া বই কিনে দেয়া আর আমাকে দামী দামী রং কিনে দেয়ার বিষয়ে সারাজীবনে কোনোদিনও কার্পণ্য করতেন না। তাঁর কখনোই কোনো সঞ্চয় ছিলোনা। ব্যাঙ্ক একাউন্টে কখোনোই কোনো টাকা থাকতো না। আমাদের তিন ভাইয়ের সব বায়না সব রকম আবদার মিটাতেন তিনি। আমার জন্য বেশ বেশী রকমের করেছেন তিনি আমাকে দামী প্রাইভেট স্কুল কলেজে পড়িয়েছেন।
মা’কে বলতে সাহস পেতাম না। কিন্তু আমাদের বাবা অন্য রকম। যখন তখন আমাদের বাবার কাছে যে কোনো কিছুই চাইতে পারতাম আমরা। বাবা আমাদের কোনোদিন শাসন করেননি।। আমাদের চড় থাপ্পড় কষেছেন সেতো দূরের কথা কোনোদিন মৃদু বকেছেন কী না এমন কোনো স্মৃতি সত্যিই আমাদের নেই।
আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। আমার দেখা আদর্শ এক শ্রেষ্ঠ মানুষকে হারিয়ে আমি শূন্যতার অসীমে কাতর হয়ে আছি। আমার স্মৃতি জুড়ে শুধুই তাঁর সম্মোহন। বাবার শরীরের গন্ধ আমার সকল সত্তা জুড়ে অনুভব করছি । শেষ রাতে তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দগুলো আমার ভেতরে ক্রমাগত প্রখর হচ্ছে। বাবাকে নিয়ে লিখতে গেলে এই মুহুর্তে কিনারা খুঁজে পাবোনা।
আমার বাবার চলে যাওয়ার সময় থেকে আপনারা যারা আমার মা এবং আমাদের পরিবারের পাশে থেকেছেন তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমাকে বিশেষ ভাবে বিস্মিত করেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও মাননীয় রাষ্ট্রদূত মিসেস রাবাব ফাতিমা আমার বাবার মৃত্যু সংবাদ শোনামাত্র তাৎক্ষণিক নিজে সরাসরি টেলিফোনে আমার মা এবং আমার পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন এরপরও একাধিকবার যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা অফুরান। আমার বাবার জানাজায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতের পক্ষে নূরই এলাহী মিনা উপস্থিত থেকে
আমার বাবাকে সম্মান দেখানোর জন্য তার প্রতিও রইলো আমাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা।
আমার অতি কাছের প্রিয় মানুষ ইটালির মাননীয় রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান টেলিফোনে বারবার কথা বলে তাঁর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। শামীম ভাইকে আমার শ্রদ্ধা।
নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এর সমবেদনা আমাকে তাঁর প্রতি ভালোবাসায় আবদ্ধ করে রাখলো। কনসাল জেনারেলের পক্ষ থেকে ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান আমার বাবার জানাজায় যে হৃদয় উৎসারিত বক্তব্য রেখেছেন তা আমার এবং আমাদের অনেকেরই স্মৃতিতে অমলিন হয়ে থাকবে। তাকে আমার প্রাণখোলা উষ্ণতা।
আমার বাবা’র মৃত্যুতে যারা আমার পাশে আছেন–এবং প্রতিনিয়ত আমার মা’র খোঁজ নিচ্ছেন–ফোনে করছেন, এখনো নিয়মিত সময় করে প্রতিদিন বাসার আসছেন–আমার সকল বন্ধু সহকর্মী আত্মীয় স্বজন এবং নিউইয়র্কের অভিবাসী জনগোষ্ঠীকে আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমার সহযোদ্ধা বন্ধু সাংস্কৃতিক সংগঠন লেখক অ্যাক্টিভিস্ট মিনহাজ আহমদ শাম্মু’র কাছে আমার অশেষ ঋণ–তিনি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সৎকারের সকল আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন।
আমার মা’য়ের পাশে সার্বক্ষণিক থাকার জন্য
আমার ভাগ্নি শিল্পী সেমন্তী ওয়াহেদ, বন্ধু সাংস্কৃতিক সংগঠক মাহফুজা হাসান, সংগীত শিল্পী নাইজার সুলতানা আর আমার খালাতো ভাই লাকী ও তার স্ত্রী রথি এবং আমার খালাতো বোন সবিনা ও তার স্বামী বাবু ভাই আর খ্যাতিমান গীতিকার মেহফুজুর রহমান ভাইয়ের প্রতি অন্তরের উষ্ণতা।
বিশেষ করে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম-আদর্শের সহযোদ্ধারা, প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সতীর্থরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহযাত্রীরা, নাট্যবন্ধু ও আবৃত্তিশিল্পীরা, আমার স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শিক্ষক ও সহপাঠীদের প্রতি আমার ভালোবাসা।
শিল্পী আল আমীন বাবু, অভিনেতা অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি,আবৃত্তিকার মাহতাব সোহেল, সংস্কৃতিক কর্মী সংগ্রাম মিন্টু, ডানিয়েল হামাদী, লেখক তানভীর রব্বানী, সংস্কৃতিক কর্মী গোপাল সান্যাল, অ্যাক্টিভিস্ট রাজনৈতিক কর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, শিল্পী আলম টিপু আপনারা সকলেই আমার অন্তরের উৎস!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে যারা আমার বাবা’র প্রয়াণে বিশেষ বার্তা পোষ্ট করে সকলকে অবহিত করেছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।
আমার বন্ধু নাট্যশিল্পী নির্দেশক আহমেদ হোসেন, ঢাকা পদাতিক এর শ্রদ্ধেয় নাট্যকর্মী অভিনেতা শেখ শাহে মাওলা, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরন, চিত্রশিল্পী কায়সার কামাল জুয়েল, লেখক আদনান সৈয়দ, শিল্পী ইমরান হোসেন পিপলু, সংগীত শিল্পী ফারহানা শান্তা,আবৃত্তিকার মেরী রাশেদীন এবং শিল্পী জাহেদ শরীফ তাদের ফেসবুকের নিজ নিজ হোমপেইজ স্ট্যাটাসে যে সহমর্মীতা প্রকাশ করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শিল্পী মাহমুদুল ম্যাক্স আমার বাবার সুন্দর একটি গ্রাফিক্স পোট্রেট করে তার ফেইসবুক দেয়ালে দিয়ে ভালোবাসার শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন–তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অপার!
আমার মায়ের শিক্ষক জীবনের সহকর্মী আর ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমার বাবার সহকর্মী আমাদের দীর্ঘ ছয় দশকের ঢাকাস্থ নিবাস বকশিবাজারের এলাকাবাসী ও আমাদের আদী নিবাস শরিয়তপুরবাসীর প্রতি আমরা ঋণী।
আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ অধ্যাপক ড. আবেদীন কাদের, লেখক প্রাবন্ধিক আহমাদ মাযহার, কবি শামস আল মমীন অসুস্থ অবস্থায় আমার বাবাকে দেখতে এসেছেন এবং প্রতিনিয়ত খোঁজ রেখেছেন–তাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতার শেষ নেই।
আমার কলেজ জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড.ফয়সাল মাহমুদ হক রণি ও তার স্ত্রী চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড. শাম্মী মাহমুদ বহু দূর থেকে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে আমার আব্বাকে দেখতে এসেছেন এবং চিকিৎসার সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে আমাদেরকে বাধিত করেছেন–তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশের অন্ত নেই।
টেলিফোনে কানাডা থেকে ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন এর সমবেদনার ভাষা আমাকে আপ্লুত ও মায়াচ্ছন্ন করেছে!
আমার নটর ডেম কলেজের শিক্ষক হোসনে আরা বেগম, কথাসাহিত্যিক আনোয়ার শাহাদত, আমার সহোদরাসম শিল্পী লুৎফুন নাহার লতা, প্রবীণ সম্পাদক সৈয়দ মহম্মদউল্লাহ, সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক ফজলুর রহমান, বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বর্ণমালা সম্পাদক আমার বন্ধু মাহফুজুর রহমান, আমার সহযোদ্ধা উত্তর আমেরিকা প্রথম আলো সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, সাংবাদিক সনজীবন সরকার, সাংবাদিক শাহ জে চৌধুরী আপনারা আমার বাবার প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন আমি আপনাদের প্রতি বিনয়াবনত ।
আমার সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের শ্রদ্ধাভাজন সঙ্গী নেতৃস্থানীয় অগ্রজ অ্যাক্টিভিস্ট সউদ চৌধুরী, লেখক শিতাংশু গুহ, মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, রাজনৈতিক নেতা অ্যাক্টিভিস্ট ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, অ্যাক্টিভিস্ট আশরাফুল হাসান বুলবুল , লেখক মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, ছড়াকার মনজুর কাদের, সাংস্কৃতিক সংগঠক ইসমত সোবহান, নাসরিন আজাদ ও শিল্পী ওয়াহিদ আজাদ
সংগঠক মোশারফ হোসেন তাদের প্রতি রইলো আমার অতল শ্রদ্ধা।
নাট্যবন্ধু অভিনেতা জহির মাহমুদ, আমার শিশুবেলাকার বন্ধু অভিনেতা মিল্টন আহমেদ, আমার আশৈশবের প্রিয় সখ্য শিল্পী স্থপতি ও নাট্যকর্মী শুভা রহমান, আমার খালা কবি চমন চৌধুরী, আমার কর্মক্ষেত্রের দুই সহকর্মী মিজান ভাই এবং সালাউদ্দিন আর আমার খালাতো ভাই সামিউর খান শাহেদ–এদের জন্য শুধু ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের আদর্শ পুরুষ নাট্য নির্দেশক চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, আমার মেন্টর শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক ড.আলী রীয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি লেখক গবেষক গোলাম কুদ্দুছ, নাট্যকার গবেষক অধ্যাপক ড. রাহমান চৌধুরী, অভিনেত্রী রোকেয়া রফিক বেবী, কবি হেলাল হাফিজ, আবৃিত্তিকার প্রজ্ঞা লাবণী, আবৃত্তিকার অ্যাক্টিভিস্ট সাগর লোহানী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক প্রযোজক শামসুদ্দোহা তালুকদার,–আপনারা সকলেই বাংলাদেশ এবং ইলিনয় থেকে ফোনে ও বার্তায় যে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তাতে আমি ও আমার পরিবার আপনাদের প্রতি ভালোবাসায় আবদ্ধ রইলাম।
নাট্য নির্দেশক শামসুল আলম বকূল, বন্ধু অভিনেত্রী নাহিদ রেজা রুমু, লেখক শিল্পী জীবন বিশ্বাস, আবৃত্তিকার ক্লারা রোজারিও, আমার দীর্ঘ অভিবাস জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বন্ধু মীর নিজামুল হক, নাট্যকর্মী সেলিম চৌধুরী, লেখক অনুবাদ লায়লা ফারজানা, নাট্যশিল্পী মুজিব বিন হক, মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী তাজুল ইমাম, সংগীত শিল্পী সেলিমা আশরাফ, নৃত্য পরিচালক এ্যানি ফেরদৌস, রাজনীতিক ফরাশত আলী, সংগীত পরিচালক সুরকার নাদিম আহমেদ, শিল্পী কাবেরী দাশ, শিল্পী জলি কর, সাংস্কৃতিক কর্মী গোপন সাহা,সাংস্কৃতিক কর্মী এজাজ আলম আপনারা টেলিফোনে ও ক্ষুদে বার্তায় আপনারা যে আমার পরিবারের পাশে থেকেছেন–কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমার বিশেষ বন্ধু রাজনীতিক ড. নাজরা চৌধুরী ও আমার অকৃত্রিম বন্ধু লেখক শিক্ষক সাংস্কৃতিক সংগঠক সঙ্গীতা ইমাম বাংলাদেশ থেকে বারবার টেলিফোনে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি আমার চিরদিনকার বন্ধুত্ব অটুট !
আরো অনেক নাম জানা কিংবা অজানায় থাকা অথবা সেই সময়ে খেয়ালে আসেনি–যারা আমার বাবার জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
বিভিন্ন সময়ে যারা খোঁজ নিয়েছেন বাসায় এসেছেন এই মুহুর্তে অনেকের নামই হয়তো অনুল্লেখ রয়ে গেলো– আর যারা অলখ্যেই রয়ে গেলো তাদের প্রতিও ভালোবাসা।
আপনারা আমার বাবার আত্মার জন্য শান্তি কামনা করবেন এই আশা রাখছি!
সম্পাদক : মো: মশিউর রহমান মজুমদার ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: 37-20 73rd Street 1E, Jackson Heights, NY 10458।
মোবাইল : +1 415-850-7998 । ইমেইল : arthakantha@yahoo.com।