• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

সঞ্চয়পত্রের টাকার উপর কি জাকাত ফরজ?

রিপোর্টারের নাম : / ৫২ ভিউ
আপডেট সময়: বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ। তার পঞ্চমটি হলো- জাকাত। জাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদত। জাকাত আদান-প্রদানে সমাজে ধনী-গরিবের মধ্যে সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ থাকলে জাকাত দিতে হয়।

তবে প্রশ্নের হলো সঞ্চয়পত্রের টাকার উপর কি জাকাত ফরজ? হ্যাঁ, ফরজ। ব্যাংকের প্রচলিত সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে যে টাকা জমা রাখা হয় এককালীন তিন বছর, পাঁচ বছর বা ১০ বছরের জন্য। সে টাকা জমা রাখার পরে প্রতি মাসে ব্যাংক কর্তৃক টাকা জমাকারীকে একটা অংক দেওয়া হয়, এটা স্পষ্টত সুদ। কেননা সুদ বলা হয়, ঋণ নেয়ার পর ঋনদাতাকে কিছু দেওয়ার চুক্তি করা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা সুদ খায় তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দণ্ডয়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছে: ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মতো! অথচ আল্লাহ তায়ালা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোজখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৭৫)

সুদ বা রিবা কাকে বলে? এ ব্যপারে উলামায়ে কেরাম একমত যে, প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসবে তাই রিবা বা সুদ হিসেবে পরিগণিত হবে। যেমন বলা হয়েছে যে, ‘প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসবে, তাই রিবা বা সুদ।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহ, হাদিস : ২০৬৯০)

জ্ঞাতব্য যে, সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হারাম। মূলধন ব্যতিত মুনাফা যতটুকুই আসবে, সবকটুকু সদকা করে দিতে হবে। মূলধন যেহেতু জাকাতের নিসাব সমপরিমাণ, তাই তাতে জাকাত আসবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর