• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
Headline
তানিয়া আফরিন পেলেন আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ ‘সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও নারী-শিশু নির্যাতন বিরোধী আলোচনা সভা অদম্য নারী পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এম মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন। BAMGLADESHI AMERICAN COMMUNITY CHANGEMAKERS দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করতে একমত ড. ইউনূস ও শাহবাজ শরিফ ইউনূস-বাইডেন বৈঠক নিয়ে যা বলেছে হোয়াইট হাউস ‘রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দেব’ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা জরুরি : ড. যশোদা জীবন দেবনাথ মাহবুব সিরাজ তুহিন সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালি ছাত্র ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের অভিভাবক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য সুশাসন, শিক্ষার প্রসার ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে : প্রীতি চক্রবর্তী

কিশোর কালের বর্ষার স্মৃতি 

Reporter Name / ১১৬ Time View
Update : শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১

কিশোর কালের বর্ষার স্মৃতি

 

আনোয়ার হোসেন মুকুল
কিশোর বয়সে যখন স্কুলে পড়তাম সেই ছোট বেলার বর্ষার কতো আনন্দ স্মৃতি এখনো চোখে ভাসে। সমবয়সী জেঠাত ভাই নিসার কে নিয়ে
ছোটবেলায় পুকুরে পানিতে ডুবাডুবি করার সময় যদি আকাশ কালো করে মেঘ হতো, পৃথিবীটা কেমন অচেনা স্বপ্নের জগৎ হয়ে উঠত, তখন বৃষ্টির জন্যে অপেক্ষা করতাম। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে পুকুরের পানিতে গলা ডুবিয়ে বৃষ্টি দেখতাম। পুকুরের পানিতে বৃষ্টি পরলে কেমন লাগে তা অনুভব করার জন্য আমরা দুজন ডুব মেরে পানির ভিতর থেকে চোখ খুলে উপরের তাকিয়ে থাকতাম। বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা পানিতে পরে যে আলোড়ন সৃষ্টি করতো তার সৌন্দর্য প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। এক একটা বড় ফোঁটা পানিতে পরলে পানি অনেক দূর ডেবে গিয়ে গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতো। এইভাবে হাজার হাজার বৃত্ত চোখের সামনে পানির নীচ থেকে দেখতাম। বৃষ্টির একজাতীয় রিনিঝিনি টুংটাং শব্দ মনের আনন্দ বাড়িয়ে দিতো। নিঃশ্বাস নিয়ে আবার ডুব দিতাম। পানির নীচ থেকে দুই কিশোরের বৃষ্টির এই সৌন্দর্য দেখার খবর পৃথিবীর কেউ জানতো না। জানার কথাও না। বৃষ্টি কে ভালোবেসে পানির নীচ থেকে বৃষ্টির অবগাহন। পানির নীচ থেকে মেঘ ডাকার প্রচন্ড শব্দ শুনতাম। তারপর পানি থেকে উঠে পাড়ে বসে থাকতাম। মেঘের গর্জনে পানি থেকে কৈ মাছ উঠা শুরু করতো আর আমি আর নিসার দ্রুত ঐসব কৈ মাছ গুলো ধরে ধরে মাটির গর্তে জমা করতাম। পুকুর পাড়ের কোন ফাঁক দিয়ে বাহিরের পানি যদি পুকুরে ঢুকতে তখন আমরা সেখানে একটা আনতা চাই ( মাছ ধরার এক জাতীয় বাঁশের তৈরি খাঁচা) বসিয়ে দিতাম। ঘন্টা খানিক পরে এসে দেখতাম ঐ আনতা চাই কাঁচকি মাছে পুরে গেছে। সেই আনন্দময় সময় গুলো এখন শুধুই স্মৃতি, যেটা নিয়ে বেঁচে আছি এখনো। সবাইকে বর্ষার শুভেচ্ছা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category