রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ব্রিটেনের জীবন্ত কিংবদন্তী। ব্র্রিটেনের হাজার বছরের ইতিহাসে তিনি হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব যিনি দীর্ঘতম সময় ধরে সিংহাসনে আসীন। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অদ্যাবধি রাজসিংহাসনে রানি এলিজাবেথ। তাঁর আমলে ব্র্রিটেনে ১২ জন প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্র্রে ১২ জন প্রেসিডেন্ট ও ভ্যাটিকানে ছয়জন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।
রানির শাসনের ৭০ বছর পূূর্তি উপলক্ষে সমগ্র ব্রিটেনে ‘প্ল্যাটিনাম জুবিলি’ উদযাপন করা হলো। ২ জুন থেকে রাষ্ট্র্রীয় ছুটি ছিল ৪ দিনের। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে ইংলিশদের দেশ যুক্তরাজ্য।
এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্রিটেনে বসবাসরত এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য গুণী ব্যক্তিদেরকে রানি এলিজাবেথ সম্মাননা প্রদান করেন।
এ ঐতিহাসিক দিনে গুণীদের মধ্যে আছেন সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কৃতী সন্তান মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম। তিনি বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন ইউকে-র সভাপতি। তিনি কমিউনিটির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য পেলেন ঙইঊ পদক।
ঙইঊ হলো ১৯১৭ সালের ৪ জুন ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ কর্তৃক প্রবর্তিত সম্মাননা- ঞযব গড়ংঃ ঊীপবষষবহঃ ঙৎফবৎ ড়ভ ঃযব ইৎরঃরংয ঊসঢ়রৎব। এ রাজকীয় সম্মান ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ফুটবলার ডেভিড ব্যাকহাম, বাংলাদেশের জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক সালিম-উল হক, অভিনেতা জিম কার্টার, বিখ্যাত পারফউমার রালফ লরেন, বিখ্যাত সাহিত্যিক জেকে রলিংসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তের অনেক গুণী ব্যক্তি পেয়েছেন।
মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন ইউকে-র সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি এ পদক পাওয়ায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিবর্গ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ মুনিম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিটির জন্য বিশেষ করে ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের জন্য যে কাজ করে যাচ্ছি তারই স্বীকৃতি হিসাবে এ পদক পেয়েছি বলে আমি গর্বিত’।
মোহাম্মদ মুনিমের ঙইঊ খেতাব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনুপমনিউজটোয়েন্টিফোর-এর প্রধান সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন চৌধুরী, সম্পাদক ও প্রকাশক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী ও নির্বাহী সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরী।
উল্লেখ্য, এক সময়ের সিলেটের তুখোড় ছাত্র নেতা বর্তমান বিসিএ সভাপতি এম এ মুনিম ১৯৫৮ সালে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কামারকান্দি গ্র্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আলহাজ্ব মো: আবদুল বারী ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঠিকাদার ও সফল ব্যবসায়ী।
এম এ মুনিম কুলাউড়া এনসি হাই স্কুল থেকে ১৯৭৩ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৭৪ সালে সিলেট এমসি কলেজে ভর্তি হন এবং সেখানেই উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে (অনার্স) অধ্যয়ন করেন।
সিলেট সরকারি কলেজে (এমসি) দু’বার ছাত্রলীগের সভাপতি এবং দু’বার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এম এ মুনিম। তিনি তখন শিক্ষা আন্দোলন, বিশেষ করে সিলেটে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রচার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। সিলেট বিভাগ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাউথ ইস্ট রিজিওনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিসিএ কেন্দ্র্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে বিসিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৭ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে এ দায়িত্ব পালন করেন। এম এ মুনিম ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নির্বাহী সদস্য এবং ২০১৯ থেকে সভাপতি হিসেবে বি সি এ’র নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।অর্থকণ্ঠ ডেস্ক