ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক। এ সেতুর ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও আস্থার পরিবেশ তৈরি হবে। গত ৭ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘ডিকাব টক’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ইতো নাওকি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ। বাংলাদেশ এ ফোরামে যোগ দেবে কিনা সেটা বাংলাদেশকে ভালোভাবে অনুধাবন করতে হবে। তবে আমরা চাই, একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক গড়তে। যেন সব দেশ লাভবান হতে পারে। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে চায়। বাংলাদেশ চাইলে এ বিষয়ে সহযোগিতা নিতে পারে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকা-টোকিওর মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ খুব শিগগিরই আমরা শুরু করতে চাই। কোভিড পরিস্থিতির জন্য এটা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জাপান। এর মধ্যে মেট্রোরেল একটি। ডিসেম্বরে এর প্রথম ফেস চালু হবে। মেট্রোরেল চালু হলে এ শহরের মানুষ স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবে বলে আশা করি। তিনি বলেন, জাপান রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চায়। সংখ্যায় কম হলেও দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করাটা জরুরি বলেও জানান তিনি। অর্থকণ্ঠ প্রতিবেদক