অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির নেভাদা স্টেটের গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসির গভর্নিং বোর্ডে শিগগিরই তিনি যোগ দেবেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক সময়ের তুখোড় ছাত্র হাফিজ আহসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিনে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ইংল্যান্ড থেকে এমআরসিপি এবং পিএইচডি শেষ করে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া থেকে মেডিসিন এবং কার্ডিওলজিতে ট্রেনিং ও ডিগ্রি অর্জন করেন। নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই থেকে কার্ডিওলজির ওপর বিশেষ ট্রেনিং নিয়ে প্রথমে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ডিরেক্টর অব কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাব হিসেবে কাজ শুরু করেন হাফিজ আহসান।
লাস ভেগাসে ইউনিভার্সিটি অব নেভাদাতে হাফিজ আহসান অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এগিয়ে যান। অত্যন্ত কম সময়ে তিনি অধ্যাপক হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। সেখানে তিনি কার্ডিওলজি প্রোগ্রামের ডিরেক্টর হয়ে সেই প্রোগ্রামকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ করে তুলে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০১৭ সালে লাস ভেগাস হিলস অ্যাওয়ার্ড এবং আলফা ওমেগা আলফা মেডিকেল অনার সোসাইটির ফ্যাকাল্টি মেম্বারের সম্মান অর্জন করেন।
লাস ভেগাসে উত্তর আমেরিকা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কনভেনশনের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি সংগঠনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তিনি উত্তর আমেরিকা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নেভাদা চ্যাপ্টারও প্রতিষ্ঠা করেন।
আমেরিকাতে থেকেও তিনি নিজ উদ্যোগে বছরে দুইবার বাংলাদেশে গিয়ে বারডেম-এর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারকে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বাংলাদেশি দাতা মিসেস সিতারা খান এবং খান ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রায় কোয়ার্টার মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ইমদাদ খান ভা¯ু‹লার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি বহুবার নিজ উদ্যোগে তার আমেরিকান কার্ডিওলজি টিম নিয়ে ঢাকায় যান। বারডেম, হার্ট ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য স্থানে চিকিৎসা এবং ডাক্তারদের কার্ডিওলজি ট্র্রেনিং, ছাত্রদের শিক্ষা এবং হার্টের উপর মেডিকেল রিসার্চ করে চলেছেন। চৌধুরী হাফিজ আহসান বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে এখানে মূূলধারার রাজনীতির সাথেও সক্রিয়। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক