মশিউর আনন্দঃ
চলমান দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করার লক্ষে চতুর্থবারের মতো সুইডেন ও টিআইবির মধ্যে একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসে সুইডেনের পক্ষে দূতাবাসের হেড অব ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন ক্রিস্টিন জোহানসন ও টিআইবির পক্ষে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির অধীনে ২০২২-২০২৬ সাল পর্যন্ত টিআইবি ‘‘পার্টিসিপেটরি অ্যাকশন এগেইনস্ট করাপশন: টুয়ার্ডস ট্রান্সপ্যারেন্সি অ্যান্ড একাউন্টেবিলিটি” (প্যাক্টা) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সুইডেন ছাড়াও প্যাক্টা প্রকল্পে টিআইবিকে যৌথভাবে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং সুইজারল্যান্ডের সুইস ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন (এসডিসি)। চুক্তি অনুযায়ী স্ইুডেন এই প্রকল্পের জন্য টিআইবিকে প্রায় ৫৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করবে।
প্যাক্টা প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অবদান রাখা। প্রকল্পটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা আরো বাড়ানো এবং তথ্য-উপাত্তনির্ভর কমিউনিটি মনিটরিং এর মাধ্যমে সুশাসনের ঘাটতি চিহ্নিত করে জনসাধারণের সেবাপ্রাপ্তিকে আরো সহজ ও স¦চ্ছ করতে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের হেড অফ ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ক্রিস্টিন জোহানসন বলেন, ‘‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সুইডেন সরকার এ বিষয়টিকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। আজ টিআইবির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব নবায়ন করতে পারায় আমি সত্যিই আনন্দিত।”
সুইডেনের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে জোরদার করার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও সামাজিক পরির্বতনে অংশীজন হিসেবে টিআইবি ও সুইডিশ দূতাবাসের মধ্যে চতুর্থবারের মতো আজ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমরা সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত।”