স্পোর্টস ডেস্ক: মিলানের দুই দলের লড়াইয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন লাউতারো মার্তিনেস। প্রথমার্ধেই দুই গোল করে চালকের আসনে বসালেন দলকে। সেখান থেকে আর ম্যাচ ফিরতে পারেনি এসি মিলান। অনায়াসে জিতে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার মিলান।
সান সিরোয় মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। বদলি নামার মিনিট তিনেক পর দলের তৃতীয় গোলটি করেন রবিন গোসেন্স। গত মার্চে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।প্রতিযোগিতার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান সবশেষ এর ফাইনাল খেলেছিল ২০১৮ সালে। সবশেষ শিরোপা স্বাদ পেয়েছিল আরও আগে, ২০০৩ সালে। আরেকটি ব্যর্থতায় প্রতীক্ষা আরও বাড়ল তাদের। ইতালিয়ান কাপের ৭ শিরোপার সবশেষটি ইন্টার জেতে ২০১১ সালে। সেবারই সবশেষ ফাইনালে খেলে তারা। সেরি আয় পয়েন্ট টেবিলে এবার আধিপত্য করছে মিলানের এই দুই দল। ৩৩ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এসি মিলান। এক ম্যাচ কম খেলা ইন্টার ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে ঠিক পেছনেই।
লিগের তীব্র সেই লড়াইয়ের কোনো ছাপ ছিল না এই ম্যাচে। চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইন্টার। ডান দিক থেকে দারমেইন মাত্তেও একটু ঝুলিয়ে দেওয়া পাসে চোখের পলকে দারুণ সাইড ভলিতে জাল খুঁজে নেন মার্তিনেস। বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও ফেরাতে পারেননি মাইক মিয়াঁ।
২৮তম মিনিটে গোলরক্ষকের প্রথম পরীক্ষা নেয় এসি মিলান। কিন্তু অলিভিয়ে জিরুদের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে আলেক্সিস সেলমেকার্সের দূরপাল্লার শট রুখে দেন গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ। ৪০তম মিনিটে রাফায়েল লিওর শট ফিরিয়ে আবারও ইন্টারের ত্রাতা সামির।
এর পরপরই মার্তিনেস ব্যবধান দ্বিগুণ করেন, ম্যাচে চালকের আসনে বসে বিরতিতে যায় ইন্টার। হোয়াকিন কোররেয়ার শট মাঝ পথে স্লাইডে ফেরাতে চেয়েছিলেন এসি মিলান গোলরক্ষক, কিন্তু চমৎকার ফিনিশিংয়ে তাকে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হাকান কালহানোগলুর ক্রসে মার্তিনেসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান বাড়েনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রাঙ্ক কিয়েসির হেড আটকে ব্যবধান ধরে রাখেন সামির। ৫২তম মনিটে কালহানোগলুর ক্রসে মার্তিনেসের হেড আটকান মিয়াঁ। ৬৬তম মিনিটে কর্নারের পর ছোট বক্সের ভেতর থেকে নিচু শটে জালে বল পাঠান এসি মিলানের ইসমাইল বেননাসের। কিন্তু অফসাইডের জন্য ভিএআরে গোল মেলেনি।
এসি মিলানের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায় ৮২তম মিনিটে। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে মার্সেলো ব্রোজোভিচ নিজে শট না নিয়ে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান ভালো অবস্থানে থাকা গোসেন্সকে, নিখুঁত প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন এই জার্মান। তিন মিনিট আগেই ইভান পেরিসিচের বদলি নেমেছিলেন তিনি।
সহজ জয়ে ১১ বছর পর ফাইনালে উঠে যায় ইন্টার মিলান। আগামী ১১ মে এর ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইউভেন্তুস-ফিওরেন্তিনা ম্যাচের জয়ী দল। বুধবার সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। প্রথম লেগের ১-০ গোলের জয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে জুভেন্টাস।