বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী তৎকালীন শান্তির কমিটির সভাপতির ছেলে শহিদুল বারী খান রব্বানীকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূলে।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতবাক। এই মনোনয়ন বাতিল করে যোগ্য প্রার্থীকে সুযোগ দিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে প্রার্থী রব্বানী খান দাবি করেছেন, তার বাবা কখনও পিস কমিটির সভাপতি ছিলেন না। তৎকালীন সোনাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, রব্বানীর বাবা কখনও রাজাকার ছিলেন না। বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আকন্দ নান্নু ষড়যন্ত্র করে রব্বানীর প্রয়াত বাবা সামছুল হক খানসহ অনেককে শান্তি কমিটির সভাপতি ও সদস্য বানিয়েছেন।
সোনাতলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির হোসেন জাকির শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, শহিদুল বারী খান রব্বানীর বাবা মৃত সামছুল হক খান মহান মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতাকারী ও উপজেলা শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেই পরিবারের সন্তান রব্বানীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ায় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণসহ পুরো জেলায় জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।