যুবরাজ চৌধুরী
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সারাদেশেই তোরজোর শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের একটি বিএনপি এবার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনের না যাওয়ার। ফলে সরকার দলের প্রার্থীদেরকেই মাঠে সরব দেখা যাচ্ছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতবারের তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রার্থী আব্দুল লতিফ এবারো মাঠে সরব আছেন। গতবার তৃর্ণমূলের নির্বাচনে জয়ী হলেও শেষ পর্যন্ত অদৃশ্য কারণে অশোক কুমার রায় নামের একজককে কেন্দ্র আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়। যদিও অশোক কুমার রায় ২০১৬ সালের ওই নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দলীয় ভোটে অংশগ্রহণ করেননি।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যার আব্দুল লতিফ গতবারের দলীয় ভূমিকায় হতবাক হলেও হাল ছাড়েন নি। পুরো সময়জুড়ে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। দিনাজপুরের একাধিক তৃর্ণমূল নেতার সাথে কথা বললে তারা জানানয়, ২০১৬ সালে আওয়ামী গঠন তন্ত্র অনুযায়ী দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার ২ নং সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তৃনমুলে ভোটে ৮২ ভোটের মধ্যে ৫৩ ভোট পেয়ে একক চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয় আব্দুল লতিফ। ফলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং জেলা আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী হিসেবে তার নাম অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠায়। কিন্তু কেন্দ্র আব্দুল লতিফকে মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেয় অশোক কুমার রায়কে। যিনি তৃণমূলের ভোটে অংশগ্রহণই করেন নি। এবারো তৃণমূল সংগঠন আব্দুল লতিফকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। আমরা নেতাকর্মীরা তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশাকরি কেন্দ্র সংগঠন এবার তাকে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যার আব্দুল লতিফ জানান, ২০১৬ সালে তৃর্ণমূলের নির্বাচনে জয়ী হলেও চিহ্নিত কিছু নেতা কেন্দ্র আওয়ামী লীগের কাছে প্রতারণামূলকভাবে নাম পরিবর্তন করে দেয়ায় আমি বাদ পড়েছিলাম। বিষয়টি মাননীয় স্থানীয় এম পি হুইপ ইকবালুর রহিম অবগত করেছিলাম। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করতে বলেন। আমি আবেদনও করেছিলাম। আবেদনের সিরিয়াল নাম্বার ৩৪৭। এর পরেও আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি হতাশ না হয়ে জনগণের পাশে থেকে নিয়মিত সামাজিক এবং দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। কেন্দ্র এবার কারো প্রররোচনায় কান দেবে না এবং যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের চাওয়াকে প্রাধান্য দেবে বলে আশাকরি।
এদিকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গতবারে আব্দুল লতিফ তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কেন্দ্র তাকে মনোনয়ন না দিয়ে অশোক কুমার রায়কে মনোনয়ন দেয়। এবার তৃণমূলে কোন ভোটের ব্যবস্থা রাখেনি কেন্দ্র আওয়ামী লীগ। তবে প্রতি ইউনিয়নে তিনজন সম্ভাব্যপ্রার্থীর নাম পাঠানোর নির্দেশ আছে। আমরা কেন্দ্র সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে তিন প্রার্থীর নাম পাঠোবো। কেন্দ্র সেখান থেকে যাকে যোগ্য মনে করবে তাকে মনোনয়ন দেবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কিছু করার নেই বলে