অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, গুণগতমান ও সাশ্রয়ী দামের কারণে বিশ্ব জয় করেছে বাংলাদেশে তৈরি কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য। ইউরোপসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এসব পণ্যের নতুন বাজার। করোনার প্রাদুর্ভাব কমায় গতি এসেছে রপ্তানিতেও।
চলতি অর্থবছরের দশ মাসে (জুলাই ২০২১-এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত) ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে সাত কোটি ১৩ লাখ ইউএস ডলারের পণ্য। এর আগে গত অর্থবছরের দশ মাসে এই পণ্য থেকে আয় ছিল পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবির তথ্যমতে, গত বছর ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি করে আয় হয় ছয় কোটি ৭৪ লাখ ডলার। চলতি বছর এর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আট কোটি ৬২ লাখ ডলার, যা অর্জনে খুব বেশি পিছিয়ে নেই রপ্তানিকারকরা।
বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানির তালিকায় রয়েছে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, গ্যাস স্টোভ, ইন্ডাকশন কুকার, ফ্যান, হট প্লেট, রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসর ও কম্প্রেসর তৈরির যন্ত্রাংশ।
এ খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারের কাছ থেকে রপ্তানি প্রণোদনা ও অন্যান্য নীতি সহায়তা পেলে পোশাকশিল্পের মতো দেশের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি বড় রপ্তানি খাত হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে করোনা কমার পর বিশ্বে বেড়েছে বাইসাইকেলের কদর। এ কারণে সাইকেল রপ্তানি আয়ে হয়েছে বড় উৎফলন।
চলতি অর্থবছরের দশ মাসে ১৪ কোটি ডলারের সাইকেল রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি, আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।
এবার ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সাইকেল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর আগে গত অর্থবছরের দশ মাসে ১২ কোটি ৮১ লাখ ডলারের সাইকেল রপ্তানি হয়েছিল।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল এর বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, করোনার সময় সাইকেলের প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ ছিল। তখন ইউরোপের আবহাওয়াও ছিল খারাপ। সাইকেলের রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউরোপের আবহাওয়া অনেক বড় নিয়ামক। তিনি বলেন, গত বছর ইউরোপের আবহাওয়া ছিল ভালো। স্ন্নো ফল কম ছিল, এটার একটা প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে। লকডাউন উঠে যাওয়া এক ভালো আবহাওয়ার কারণে এবার ইউরোপে সাইকেলের বিক্রি ভালো হয়েছে। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক