• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন

আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বললেন বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টারের নাম : / ১৫৪ ভিউ
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, এমন আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। সমৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সংঘাতহীন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় পিটার হাস এ কথা বলেন। ‘ইউএস-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক : ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণই চাবিকাঠি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য দেন তিনি। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ ও সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে পাঁচটি লক্ষ্য তুলে ধরেন। এগুলো হলো শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ; গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার; সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে সহনশীলতা; রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরতে সহায়তা করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এসব লক্ষ্য সম্পর্কে পিটার হাস বলেন, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বাংলাদেশ দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বেশি। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক বিরাজমান। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত পড়ছে। বেসরকারি খাত জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পৃক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের চার কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
আমেরিকার বিনিয়োগ সম্পর্কে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তাই এখানে পূর্ণকালীন একজন কমার্শিয়াল অ্যাটাশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মানবিক কারণে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এখন তাদের নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়া নিয়ে কাজ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা করছে।
অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও শুল্কায়ন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করা হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর