যুবরাজ চৌধুরী
১৩ অক্টোবর ।
কুমিল্লায় নানুয়ার দিঘির পাড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী দূর্ঘাপুজা মন্ডপে পূজা চলা অবস্থায় একটি মূর্তীর পায়ের নিচে মুসলমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন রেখে পূজাকরার অভিষোগ উঠেলে কুমিল্লা সদর থানার ওসি পূজা মন্ডপে গিয়ে কোরআন শরীফটি উদ্ধার করে।কোরআন শরীপ অবমাননার অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মুসলমাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তেজনা প্রশমন করতে এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক কুমিল্লা ঐ পূজা মন্ডপের পূজা বন্ধ করে দেয়।
উত্তেজনায় হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসলমান জনগন জড়হতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দিতে কুমিল্লা জেলা শহরে পুলিশ এর পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া সেখানে আসলে কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মূলত একটি মন্দিরে পূজায় কোরআন শরীফ অবমাননার কথা বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এবং বিভিন্ন ভাবে খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে তারাও তোপের মুখে পড়ে।
সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুপুরের দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফজলে রাব্বি একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন।
তিনি জানান, কুমিল্লায় যেন কোনো ধরনের ‘আনরেস্ট’ পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তাই দুপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।