যুবরাজ চৌধুরী
কিংবদন্তির বেতার ভাষ্যকার বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যিনি খবর সংগ্রহের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন সব সময়।
ওনার কর্মদক্ষতার জন্য আমেরিকার বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট পুরস্কার হিসেবে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড।
সর্বশেষ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কতৃক ভূষিত হন অলষ্টার এওয়ার্ড খতাবে।
বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষা, পাশাপাশি বাংলা ভাষা ভাষাভাষী সকলের জন্য যিনি সব সময় তাঁর অবস্থান থেকে সুনাম অর্জন করে এসেছেন /এনেছেন তিন হলেন আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন রোকেয়া হায়দার ভিওএ বাংলা বিভাগের প্রধান।
আমাদের রোকেয়া আপা।
আমেরিকান সরকার কতৃক পরিচালিত ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগে ওনার রয়েছে গৌরব ময় ৪০ বছরের ইতিহাস।
যা স্বর্ণা অক্ষরে লিখা থাকবে।
আমরা ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগে আর হয়তো শুন্তে পাবো না,
আমি রোকেয়া হায়দার বলছি
কিন্ত আমরা কখনো কি রোকেয়া আপার কন্ঠ ভূলতে পারবো?
আমরা মনে হয় আমরা কেউই ওনাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভূলতে পারবে না।
প্রিয় রোকেয়া আপা ও মরহুম গিয়াস কামাল চৌধুরীর অনুপ্ররবায় তিল তিল করে হাজারের উপরে ভয়েস অব আমেরিকা ফ্যান গড়ে উঠেছে/ফ্যান ক্লাব সৃষ্টি করার উৎসাহ দিয়েছেন বেশি রোকেয়া আপা।
খবরাখবর নিয়েছেন সবসনয় তিনি,
তিনি কি ফ্যান ক্লাব কে ভূলতে পারবেন?
নাকি বাংলাদেশে ও ভারতে গড়ে উঠা ফ্যান ক্লাবের সদস্য গন রোকেয়া আপা ভূলতে পারবে?
রোকায় আপাই সব সময় সকল ক্লাবের সংশ্লিষ্ট সবাইকে মায়ের মমতা,বোনের আদর,দিয়ে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন।
ঠিক তেমনি তিনি আমাদের কোন অন্যায় দেখলে চোখ রাঙিয়ে শাসন করে ভূল সংশোধন করে আবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন।
আজ শুক্র বার।আমাদের সকলের প্রিয় রোকেয়া আপা ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগ থেকে অবসর গ্রহন করেছেন।
আজ সারাদিন আমি কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ীতে সকল আত্মীয় স্বজন নিয়ে কত মজা করেছি।
রাত ১১.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম এসে আমাকে শুনতে হবে রোকেয়া আপার অবসরের কথা।
এটা ভাবতেও পারিনাই আমি যখন শুনেছি ওনি অবসর নিয়েছে তখনি মনের অজান্তে চোখের পানি পড়েতে শুরু করলো,
কিন্ত আমি বুঝতে দিতে চাচ্ছি লাম না মোবাইলের ঐ প্রান্তে যিনি আমার সাথে কথা বলছেন আর কাঁন্না করছেন তিনি যেন বুঝতে না পারেন আমার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে।
তিনি আর কেউ নয় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক বেতার ভাষ্যকার ভয়েস অব আমেরিকা নিউইয়র্ক সংবাদ দাতা যিনি
রোকেয়া আপাকে মায়ের মত সম্মান করেন।
জনাব আকবর হায়দার কিরন।
ওনার মত আমিও ঠিকই ওনাকে মায়ের মতই সম্মান করি।
মনে মনে মিলে গেলে যা হয় আমি রোকেয়া আপাকে ছিনি প্রয় ত্রিশ বছের বেশি আর আমার সামনে যিনি বসে আছেন তিনি মাত্র ২ -৩ বছরে চাকুরীর সুবাদে আপাকে মায়ের মতই সম্মান করতে শুরু করেছেন।
তিনি বিশেষ কাজে চট্টগ্রাম এসেছেন তাই আমার সাথে দেখা হলো পরিচয় উদীয়মান উত্তর বঙ্গের আলোক উজ্জল সাংবাদিক ও বেতার ভাষ্যকার ভয়েস অব আমেরিকার উত্তর বঙ্গের সংবাদ দাতা ও আমার আস্থাভাজন প্রিয়জন এবং আপন জন।
জনাব প্রতিক ওমর।
আমি যখন ই যে কোন কাজে উত্তর বঙ্গে যাই প্রতিক ভাই শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে সময় দেন।
পুনরায় আবার ও আপা প্রসঙ্গে আসতে হলো।আমি আপার মোবাইলে সাথে সাথে কল দিলাম ও প্রান্ত থেকে আপা বল্লেন যুবরাজ তুমি কোথায়? আমি বল্লাম আপা আমি এখন ওয়াশিংটনে।
আপা একটু হাসতে চেষ্টা করেও হাসতে পারলেন না কিরন বলেছে?
বল্লাম জি আপা ওনি বলার পরপর ই প্রতিক ওমর ভাই মেইল পেয়েছেন ওনিও বল্লেন।ওনি কাঁদলেন, কাঁদালেন,আবার সাহস দিলেন।
এই কি জাদুকরী কষ্ঠ শেষ কথা একটা যতদিন বেঁছে থাকবো তোমাদের সাথে আমার সম্পর্ক থাকবে।
কখনো ভূলতে পারবো না তোমাদের কে এবং কোন ফ্যান ক্লাব কে।
বল্লাম আপা প্রতিক ওমর ভাই ওনি বল্লো দাও কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। রোকেয়া আপার সাথে কথা শেষ করে প্রতিক ওমর ভাই ঝাপসা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বল্লেন ভাই রোকেয়া আপার মত এত আপন জন কি আর একজন আসবে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা ভিভাগে?
আমি বল্লাম ভাই রোকেয়া আপা তো রোকেয়া আপাই এক জনই আছেন, আর একজন ও খুজে পাওয়া যাবেনা এই ধরণীতে।
আসুন আমরা সবাই আপার জন্য ও ওনার পরিবারের জন্য দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন রোকেয়া আপাকে নেক হায়াত দান করেন, সুস্থ্য ও নিরাপদে রাখেন।