যুবরাজ চৌধুরী
দিনাজপুর থেকে ফিরে:
চেয়ারম্যান কোন দলের হতে পারে না। আমি দলমত নির্বিশেষে জনতার চেয়ারম্যান হয়ে আপনাদের সেবা করতে চাই। আপনাদের মূল্যবান ভোটের আমানতদার হতে চাই। আমার কাছে আসতে কোন মাধ্যমের সাহায্য লাগবে না। এমন দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে শেষ সময়ের প্রচারণা চালাচ্ছেন দিনাজপুর সদর উপজেলার ২ নং সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল লতিফ। তার নির্বাচনী পথসভাগুলোতে শতশত মানুষের ঢল নামছে। সারাদিন এবং মধ্যরাত পর্যন্ত তিনি মানুষের কাছে ভোটের প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নির্বাচনী সভাগুলোতে এলাকার সাধারণ মানুষ স্ব:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন।
পথসভাগুলোতে তিনি ভোট পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করছেন। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে ইউনিয়ন পরিষদ হবে দুর্ণীতি মুক্ত, স্বজনপ্রীতি মুক্ত, দলীয় প্রভাব মুক্ত। আমার নাম নিয়ে কেউ যদি কারো সাথে প্রতারণা করেন আর সে যদি আমার কাছেও কেউ হন তারপরও আমি তাকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করবো। তিনি বলেন এই ইউনিয়ন পরিষদকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো।
আলাউদ্দিন মুন্সি, প্রকাশ রায়, নূর ইসলাম, আফজাল হোসেন, মুখেশ রায় বলেন, গেল নির্বাচনে জয়ীপ্রার্থী তার দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। মানুষ হতাশ হয়েছে। এবার আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল লতিফকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় ইউনিয়নবাসী। তার প্রতি গণমানুষের আস্থা অনেক বেড়েছে।
এদিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ২ নং সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতবারের আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রার্থী আব্দুল লতিফ শেষ পর্যন্ত অদৃশ্য কারণে নৌকার প্রতীক পাননি। এবারো নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি নৌকা প্রতীক পাননি। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মীদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন তার দিকেই আছে। দলীয় এবং সাধারণ ভোটারের সমন্বয়ে তার অবস্থান সব চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
বিগত সময়ের সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যার আব্দুল লতিফ জানান, ২০১৬ সালে তৃর্ণমূলের নির্বাচনে জয়ী হলেও চিহ্নিত কিছু নেতা কেন্দ্র আওয়ামী লীগের কাছে প্রতারণামূলকভাবে নাম পরিবর্তন করে দেয়ায় আমি বাদ পড়েছিলাম। বিষয়টি মাননীয় স্থানীয় এম পি হুইপ ইকবালুর রহিম অবগত করেছিলাম। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করতে বলেন। আমি আবেদনও করেছিলাম। আবেদনের সিরিয়াল নাম্বার ৩৪৭। এর পরেও আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি হতাশ না হয়ে জনগণের পাশে থেকে নিয়মিত সামাজিক এবং দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু কেন্দ্র এবারও নৌকা প্রতীক দেয়নি। আমি এতে হতাশ নই। বরং সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন আমি পেয়েছি। ভোট যদি নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হয় তাহলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।