• রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

Reporter Name / ৭১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

ঢাকা: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বৃহত্তর সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক ও পদ্মশ্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতিহাস যেন বিকৃত না হয় তা নিশ্চিত করতে বিশেষ করে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং জাতীয় চার নেতা ও মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ইংরেজিতে তথ্যচিত্র নির্মাণ করবে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে অর্থবহ এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, মুজিবনগর সরকার একটি অস্থায়ী বা অন্তবর্তী সরকার ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক সরকার যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত হয়েছিল। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাকে মিনি-সংবিধান ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গাইড হিসেবে অভিহিত করে এ বিষয়ে গভীরভাবে জানার জন্য প্রবাসী তরুণ বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।

সাইদা মুনা তাসনিম তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণকারী জাতীয় চার নেতা এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুকে কারাবাস থেকে মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারণা চালানো এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাসহ মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস তুলে ধরেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category