সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, গ্রুপের পরিচালক তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খান ও কন্যা আজিজা আজিজ খান এসিসিএ মহাখালীতে অবস্থিত আইসিডিডিআর.বি ঢাকা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তারা হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক ডায়রিয়া রোগীর জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সেবা দেখে অভিভূত হোন। আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ তাদেরকে অবহিত করেন, হাসপাতালটি বর্তমানে রেকর্ড-সংখ্যক রোগীকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসা প্রদান করছে যা ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সর্বোচ্চ। তিনি জানান, চলমান বৈশ্বিক আর্থিক অস্থিরতা আইসিডিডিআর,বি’র দুটি হাসপাতাল পরিচালনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, আর সে কারণে একটি টেকসই ব্যবস্থা অপরিহার্য।
এর প্রেক্ষিতে, মুহাম্মদ আজিজ খান সামিট করপোরেশন থেকে পাঁচ লাখ ইউএস ডলার এবং আরো পাঁচ লাখ ডলার সমপরিমাণ তহবিল তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘আঞ্জুমান এবং আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ থেকে মোট এক মিলিয়ন ডলার আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের এনডাউমেন্ট ফান্ডে অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন। কোনো স্থানীয় ব্যক্তির পক্ষ থেকে আইসিডিডিআর,বিতে এটি এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ ব্যক্তিগত অনুদানের অঙ্গীকার।
মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, আমি ও আমার পরিবারের জন্য আইসিডিডিআর,বি’র এই মানবিক কাজে সহায়তা করার সুযোগ অতি সম্মানের। আমরা বিনীত সেইসব গবেষণার সহযোগী হতে পেরে, যার মাধ্যমে লাখ-কোটি শিশুদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ড. তাহমিদ আহমেদ, ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং অন্যরা বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদযাপনে এই বিশ্বসেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করছি।
ড. তাহমিদ আহমেদ, মুহাম্মদ আজিজ খান ও তার স্ত্রীসহ সামিট কর্পোরেশনের অনুদানের অঙ্গীকারের প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আজিজ খান এবং তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খানের এক মিলিয়ন ইউএস ডলারের প্রতিশ্রুতি আমাদের মুগ্ধ করেছে, যা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে উৎসাহ যোগাবে। আমরা সামিট করপোরেশন এবং আজিজ খান ও আঞ্জুমান আজিজ খানের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা হাসপাতাল এনডাউমেন্ট ফান্ড বাড়াতে নিজেদের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, যাতে এটি থেকে প্রাপ্ত উপার্জন দিয়ে আমাদের হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করাকে টেকসই করা যায়। আমি আশা করি, আরো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারা আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবেন।
আইসিডিডিআর,বি একটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা ঢাকা এবং চাঁদপুরের মতলবে অবস্থিত দুটি হাসপাতালের মাধ্যমে বছরে ২ লাখেরও অধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। আইসিডিডিআর,বি এই অত্যাবশ্যক পরিষেবা প্রদানের জন্য সম্পূূর্ণভাবে অনুদানের উপর নির্ভর করে।