জনগণের মাঝে ব্যাংকিং ও আর্থিক পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি গাইডলাইনস ফর ব্যাংকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই গাইডলাইনস মেনে চলতে দেশে কাযর্রত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত ২৭ মার্চ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আধুনিক ব্যাংকিং বা আর্থিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক পণ্য বা সেবা গ্রহণে আগ্রহী হবে যা বাংলাদেশের সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্ট্রাইভিং ফর এ ফিন্যান্সিয়ালি লিটারেট সোসাইটি শীর্ষক আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচি ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উক্ত কর্মসূচির আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি গাইডলাইনস ফর ব্যাংকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস জারি করা হলো। গাইডলাইনসটি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে পর্যায়ক্রমে আর্থিক সাক্ষরতা বিস্তারের রূপরেখাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর্থিক সাক্ষরতা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সাক্ষরতা সহায়ক পুস্তিকাও এতদ্সঙ্গে সংযোজন করা হলো। উক্ত গাইডলাইনেসর আলোকে পুস্তিকাটিতে প্রাথমিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, স্কুল শিক্ষার্থী প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য আর্থিক পণ্য/সেবা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করা হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক সাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনায় এই পুস্তিকাটি ব্যবহার করতে পারবে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গাইডলাইনে বর্ণিত নির্দেশনা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সাক্ষরতা সহায়ক পুস্তিকা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।