তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসা প্রসার অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
সভায় রাষ্ট্রপতি বলেন, লোভনীয় অফার দেখলেই ক্রেতাদের হুমড়ি খেয়ে পড়ার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে বাস্তবতা বিবেচনা করে বিনিয়োগ ও ক্রয়াদেশ দিলেই এই প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, শিক্ষা ও কর্ম অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পৃক্ত। কর্মহীন শিক্ষা অনেক সময় মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে। তৈরি করে অভিজাত শিক্ষিত বেকার। বেকারত্বের বোঝা নিয়ে তরুণরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ না হয়ে দায় হিসেবে চিহ্নিত হয়। তাই আমি আশা করব, সকল যোগ্য ছেলেমেয়ে এ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃৃষ্টি করবে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্প্রতি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো: রফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এর আগে রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের শোলমারায় ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রায় ৫ একর ভূূমিতে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত তলা ভবনবিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারটি নির্মিত হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ হাই টেক-পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এ প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে।