ডিজিটাল কানেক্টিভিটি স্থাপনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চীনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য, ভৌত কাজ এবং সেবা ক্রয়ের একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
গত ২০ এপ্রিল ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থমন্ত্রী
কমন্সত্ভারী শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১১তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ১টি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটি ৯টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। ৯টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৪২ কোটি ০৯ লাখ ৫৯ হাজার ৪১০ টাকা।
ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রজেক্টটি আমাদের বিবেচনায় ভালো প্রকল্প। সেখানে অনেকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। গণমাধ্যমে এসেছে করোনার মধ্যে দেশে ১ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে ই-কমার্সে। একই খাতে চলতি বছরে আরো ৫ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। আমরা যে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেই সেক্ষেত্রে দুইটি জিনিস বিবেচনা করি। মৌলিক দুইটি এলাকা বিবেচনা করি, রেভিনিউ জেনারেশন ফর গভর্নমেন্ট এবং কর্মসংস্থান। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে ইস্টাব্লিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় চীনের কাছ থেকে জি টু জি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পণ্য, ভৌত কাজ এবং সেবা চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ কোং লিমিটেড (সিআরআইজি) এর কাছ থেকে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৮ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় অনুমোদিত অন্যা প্রস্তাবগুলো হলো-
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ৫০ হাজার টন গম ভারতের মেসার্স বাগাদিয়া ব্র্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ১৭২ কোটি ৫ লাখ ৮ হাজার ৯০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড (টিএসপিসিএল)-এর জন্য ১৫ হাজার টন রক সালফারব্র্র্রাইট ইয়েলো সালফারব্র্রাইট ইয়েলো সালফার ক্রুুড মেসার্স দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী মেসার্স জেনট্র্রেড এফজেডই, ইউএই) হতে ৯৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্র্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি ) কর্তৃক ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক পিটি বুমি সিয়াক পুসাকু (বিএসপি) এর কাছ থেকে এক লাখ টন হাই সালফার ফার্নেস অয়েল ৫৮৮ কোটি টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক