বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ভাড়া দেওয়া জুট মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল নরসিংদীর পলাশে বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুটি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেডে, নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস লিমিটেড, চট্টগ্রাম) ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অপর দুটি জুট মিলের (ক্রিসেন্ট জুট মিলস লিমিটেড, খুলনা ও হাফিজ জুট মিলস লিমিটেড, চট্টগ্রাম) কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও ১৩টি মিলের জন্য দ্বিতীয় এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি প্রতিবেদন বিজেএমসিতে দাখিল করেছে। মূল্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিকুয়েস্ট ফর ফিন্যান্সিয়াল প্রপোজাল দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বিজেএমসি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আরও কয়েকটি মিল ভাড়াভিত্তিক লিজ দেওয়া সম্ভব হলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
উল্লেখ্য, পাট খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ জুলাই বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
২৫টি জুট মিলের সব স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে পরিশোধ করা করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
এছাড়াও, যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্র্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচা পাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক