• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

শিক্ষকদের জন্য শাহেদের ‘হাট’

অর্থকণ্ঠ ডেস্ক / ১৩৩ ভিউ
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

শাহেদ ইসলাম সেই রকম একজন মানুষ, যার নেশা অনবরত নতুন কিছু করা, নতুন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া। কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র, ফলে ইন্টারনেট ব্যাপারটা খুব ভালো বোঝেন। এর সম্ভাবনা কতটা বিস্তৃত, সে সম্বন্ধে শুধু বইয়ের বিদ্যা নয়, হাতে-‘ কলমে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। অনলাইনে নানা রকম পণ্যের বাণিজ্য করছেন, আবার শিক্ষকদের জন্যও তৈরি করেছেন দারুণ এক ভার্চুয়াল বাজার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট জন’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময়েই বিডিবাজার ডট কম নামে ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেন শাহেদ। দক্ষিণ এশিয়ার চলচ্চিত্র, সিডি, হরেক রকম গয়না, এমনকি রান্নার সাজ-সরঞ্জাম পর্যন্ত এই ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করা যায়। সেটা ১৯৮৮ সালের কথা। শিক্ষাজীবন শেষে আরও নানা রকম পেশাদারি কাজে হাত দিয়েছেন, কাজ করেছেন নানা বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে। এসবের মধ্য উল্লেখযোগ্য ব্লু ক্রস অ্যান্ড ব্লু শিলড আমেরিকার বিখ্যাত স্বাস্থ্য বিমা প্রতিষ্ঠান। ২০০৩ সালে শুরু করেন নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এসজে ইনোভেশন। এক দশক পর শাহেদের ব্যবসা এখন ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আরও তিনটি দেশ- বাংলাদেশ, ভারত ও ইউক্রেনে। ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নানা রকম বাণিজ্যিক ‘সার্ভিস’ দিয়ে থাকে শাহেদের প্রতিষ্ঠান। যেমন: ওয়েব ডিজাইন, ওয়েবসাইটের রক্ষণাবেক্ষণ, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি। তার এই ‘আউটসোর্সিং’-এর ব্যবসায় এই তিন দেশ মিলিয়ে প্র্রায় ৭৫ জন উচ্চ শিক্ষিত কম্পিউটার কর্মী কাজ করছেন।

শাহেদের এই সাফল্য অবশ্য তার একার নয়। স্ত্রী শাহেরা চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়েই এসজে ইনোভেশন চালু করেছিলেন। সিলেটের মেয়ে শাহেরা, কিন্তু বড় হয়েছেন ইংল্যান্ডে। শাহেদের মতো তিনিও কম্পিউটারে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। বিয়ের পর তারা দুজনে মিলে গড়েতুলেছেন এই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ব্যবসার ব্যবস্থাপনার আসল দায়িত্ব শাহেরার। তারা দুজন নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সব দেশের কর্মীদের নিয়ে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারতের গোয়ায় যাচ্ছেন। অবকাশ কাটানো একটা উদ্দেশ্য, কিন্তু আসল উদ্দেশ্য বিভিন্ন দেশের কর্মীদের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, বাণিজ্যিক সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ। ফলে, রথ দেখাও হবে, কলা ও বেচা যাবে । শাহেদ অন্য আরেকটি বড় কাজের সঙ্গে জড়িত, যাকে বলা যায় শিক্ষকদের হাট বা মার্কেট প্লেস। সত্যি সত্যি হাট নয়, এটি একটি ভার্চুয়াল হাট’। নাম ‘টিচার্স পে টিচার্স’। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর